করাচিকে বিদায় করে ফাইনালে পেশোয়ার

করাচিকে বিদায় করে ফাইনালে পেশোয়ার

১৮২ রানের বিশাল লক্ষ্য। করাচি কিংসের ব্যাটিং লাইনআপের দিকে তাকালে এই রান অনায়াসেই পার হয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছিল দলটির সমর্থকদের। ক্রিস গেইল, সাঙ্গাকারা, রবি বোপারা, কিয়েরণ পোলার্ড। বাবর আজম, শোয়েব মালিক কিংবা ইমাদ ওয়াসিম।

কিন্তু না, পারলো না করাচি কিংস। পেশোয়ার জালমির বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে ১৫৭ রানেই থেমে যেতে হলো করাচি কিংসকে। ফলে শেষ পর্যন্ত ২৪ রানে হেরেই পিএসএল থেকে বিদায় নিলো করাচি কিংস এবং ফাইনালে উঠে গেলো আফ্রিদির দল পেশোয়ার জালমি।

৫ মার্চ লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে পিএসএলের ফাইনাল। পেশোয়ার জালমির প্রতিপক্ষ হতে আগে থেকেই ফাইনালে ঠাঁই নিয়ে বসে আছে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স। প্রথম কোয়ালিফায়ারে পেশোয়ারকে হারিয়েই ফাইনাল নিশ্চিত করেছিলো কোয়েটা।

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৮২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই বাবর আজমের উইকেট হারায় করাচি। অন্যপ্রান্তে ক্রিস গেইল থাকলেও তিনি ছিলেন স্বভাববিরুদ্ধ। অথ্যাৎ ক্রিজে টিকে থেকে বল ব্যায় করছেন; কিন্তু রান করতে পারছিলেন না। ৩১ বলে ৪০ রান করে আউট হন তিনি। ২টি বাউন্ডারি মারলেও ছক্কা মেরেছেন ৪টি।

১৩ বলে ১৫ রান করে আউট হয়ে যান সাঙ্গাকারা। শোয়েব মালিক আউট হলেন শূন্য রানে। রবি বোপারার ব্যাট থেকে এলো ১১ বলে ৬ রান। মিডল অর্ডারে মাঠে নেমে কিয়েরণ পোলার্ড একটু চেষ্টা করেছিলেন। ২৬ বলে করেছিলেন ৪৭ রান; কিন্তু তার চেষ্টা বৃথা গেলো ওয়াহাব রিয়াজের বলে কামরান আকমলের হাতে ক্যাচ দেয়ার পর।

ইমাদ ওয়াসিম ১৯ বলে ২৪ রান করে আউট হয়ে যান। শেষ দিকে সোহেল খান আর মোহাম্মদ আমির অপরাজিত ছিলেন যথাক্রমে ৪ ও ৮ রানে; কিন্তু লাভ হয়নি। কারণ, ততক্ষণে ওভার শেষ। ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে করাচির সংগ্রহ দাঁড়ালো ১৫৭ রান। ক্রিস জর্ডান আর ওয়াহাব রিয়াজ নেন ৩টি করে উইকেট। মোহাম্মদ হাফিজ নেন বাকি উইকেটটি।

তার আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কামরান আকমলের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে তোলে পেশোয়ার জালমি। ৬৫ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ৭টি ছক্কায় ১০৪ রান করে আউট হন কামরান আকমল। ২২ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন মারলন স্যামুয়েলস। ৩১ বলে ৩৬ রান করেন ডেভিড মালান।

খেলাধূলা