আউশের উৎপাদন বাড়াতে ৩৫ কোটি টাকার প্রণোদনা

আউশের উৎপাদন বাড়াতে ৩৫ কোটি টাকার প্রণোদনা

আউশের উৎপাদন বাড়াতে সরকার এ বছর কৃষকদের ৩৫ কোটি টাকার একটি প্রণোদনা প্যাকেজ দেবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।

মঙ্গলবার সকালে কৃষি মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এ সময় কৃষিসচিব মঞ্জু হোসেনসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘বোরো এবং আমন উৎপাদনের জমি বা ফলন বাড়ানোর সুযোগ কম। অন্যদিকে আউশ মোটামুটি খরাসহিষ্ণু বলে সেচের তেমন প্রয়োজন হয় না, মৌসুমী বৃষ্টিতেই চাষ করা যায়। এ কারণে সরকার আউশ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য এ প্যাকেজ ঘোষণা করছে।’

তিনি বলেন, ‘এ প্যাকেজ বাস্তবায়িত হলে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন অতিরিক্ত চাল উৎপাদন হবে।’

উল্লেখ, এ বছর আউশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২৫ লাখ মেট্রিক টন ধরা হয়েছে।

আউশ উৎপাদন বাড়াতে গত বছর (২০১১) কৃষকদের ৩৪ কোটি ৯১ লাখ টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ দেওয়া হয়েছিল। এর ফলে গত বছর দেশে ১ লাখ টন অতিরিক্ত চাল উৎপাদিত হয় এবং চাল কম আমদানির কারণে সরকারের ৩শ’ কোটি টাকা সাশ্রয় হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

‘তিন লাখ ৫৫ হাজার কৃষক এ প্রণোদনা সহায়তা পাবে’ উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন,  আগামী ১ বৈশাখ থেকে ১ বিঘা জমি আছে এমন কৃষকদের এ প্রণোদনা দেওয়া শুরু হবে। এ প্যাকেজের আওতায় প্রত্যেক কৃষক ৫ কেজি ধান বীজ, ১৬ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার পাবে। এছাড়া চলতি আউশ মৌসুমেই উঁচু এলাকার জন্য ৪৫০ মেট্রিকটন নেরিকা জাতের ধানবীজ কৃষকের মধ্যে বিতরণ করা হবে। এ জাতের বিশেষত্ব হলো— পানির তেমন প্রয়োজন হয় না, বৃষ্টিনির্ভর উঁচু জমিতে চাষের জন্য উপযোগী, ৯০ থেকে ১০০ দিরে মধ্যে ফসল পাওয়া যায়, গাছ শক্ত বলে ঝড়ে পড়ে যায় না।

কৃষিমন্ত্রী জানান, ৫৬ জেলার মোট ৪৮ হাজার ৯৬৬ হেক্টর জমি এ কর্মসূচির আওতায় আনা হবে এবং কর্মসূচি বাস্তবায়নে এক হাজার ৮৯০ মেট্রিকটন বীজ, ৫ হাজার ৬৮৫ মেট্রিক টন ইউরিয়া, ৩ হাজার ৫৫৩ মেট্রিক টন ডিএপি ও ৩ হাজার ৫৫৩ মেট্রিক টন এমওপি সারের প্রয়োজন হবে।

প্রসঙ্গক্রমে তিনি জানান, এবার মোট সাড়ে ১১ লাখ হেক্টর জমিতে আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর ১১ দশমিক ২৮ লাখ হেক্টর  জমিতে আউশ আবাদ করা হয়েছিল।

অর্থ বাণিজ্য