বাংলাদেশ ব্যাংকের কাউন্টারের মাধ্যমে আগামী ২ মে থেকে আর নতুন অথবা পুরনো টাকার লেনদেন বা বিনিময় করা যাবে না। এর পরিবর্তে দেশের ৪৭টি তফসিলি ব্যাংকের ৮ হাজার শাখার মাধ্যমে এ সেবা পাওয়া যাবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকে ছেড়া নোট বদল, পুন প্রচলনযোগ্য নোট বিনিময়, টাকার ভাঙতিসহ তফসিলি ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সর্বসাধারণের প্রয়োজন এবং নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, বাণিজ্যিক ব্যাংকের সকল শাখার মাধ্যমে নোট ও ধাতব মুদ্রার যোগান ও বিনিয়োগ নিশ্চিতকরণের বিষয়টি নজরদারি করা হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশে ৪৭টি তফসিলি ব্যাংক রয়েছে। যার রয়েছে ৮ হাজার শাখা। জনসাধারণের দোড়গোড়ায় ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে। তারই আলোকে জনসাধারণ যাতে আরো সহজে নতুন টাকা গ্রহণ, পুরনো বা ছেড়া টাকা বদল এবং ভাঙতি নিতে পারেন, তার পরিধি বাড়ানো হচ্ছে। যাতে করে জনসাধারণকে সংশ্লিষ্ট সেবা নিতে আর বাংলাদেশ ব্যাংকে আসতে না হয়।
ব্যাংকিং সেবাসমূহ মানুষের দোড়গোড়ায় নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালার আলোকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের প্রথম শ্রেণীর কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষা করাটাও জরুরি।