দারিদ্র্য বিমোচন ও লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল : তথ্যমন্ত্রী

দারিদ্র্য বিমোচন ও লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল : তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ট্রেড ইউনিয়নসহ সকল খাতে নারী সমাজের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ নির্মূল এবং দারিদ্র্য ও লিঙ্গ-বৈষম্যের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রেখে বর্তমান সরকার অংশীজনদের সাথে নিয়ে নারীর অগ্রযাত্রায় নেতৃত্ব দেবে।
হাসানুল হক ইনু বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটে ‘দি ডেইলি স্টার ভবন’ মিলনায়তনে নারীশ্রমিক কণ্ঠের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। বেসরকারি সংস্থা ‘কর্মজীবী নারী’ এ সভার আয়োজন করে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিদমন, দারিদ্র্য বিমোচন ও লিঙ্গবৈষম্য দূর করতে সরকার কোন-রকম ছাড় না দেওয়ার নীতিতে অটল। আর সাম্প্রদায়িকতা, কুসংস্কার ও জঙ্গি-সন্ত্রাস নারী সমাজের সবচেয়ে বড় শত্রু।
তিনি বলেন,‘তেঁতুল হুজুররূপী ফতোয়াবাজরা নারীকে চতুর্থ শ্রেণির বেশি পড়া-লেখা না করা এবং ঘরের ভেতরে থাকার ফতোয়া দেয়ার পাশাপাশি তাদের সমর্থকদের দিয়ে দেশের ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলারও হুঁমকি দিচ্ছেন। এরা যদি বলপ্রয়োগ করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে তবে নারীবিদ্বেষী রাষ্ট্রই গড়বে তারা। কিন্তু জনগণ ও সরকার তা হতে দেবে না।’
২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন সম্পর্কিত জাতিসংঘের বাধ্যবাধকতার উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকারের নেতৃত্বে গণমাধ্যম ও সকল সংস্থাকে নারী উন্নয়নের কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা, তা নজরদারিতে রাখতে হবে। হাসানুল হক ইনু এ সময় ‘মহিলা’র পরিবর্তে ‘নারী’ শব্দ ব্যবহারে উৎসাহ দেন।
নারী শ্রমিককণ্ঠের আহ্বায়ক সংসদ সদস্য শিরীন আখতারের সভাপতিত্বে দাতা সংস্থা ফ্রিডরিক এবার্ট স্টিফটাংয়ের আবাসিক প্রতিনিধি ফ্রান্সসিকা কর্ন বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং কর্মজীবী নারীর নির্বাহী পরিচালক ও নারী শ্রমিককণ্ঠের সদস্য সচিব রোকেয়া রফিক, শ্রম অধিদপ্তরের শ্রম পরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক শরমিন্দ নিলোর্মী, ঢাকা বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের যুগ্ম শ্রম পরিচালক এস এম এনামুল হক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন এবং পোশাক শ্রমিক ও নারী শ্রমিক প্রতিনিধিবৃন্দ এ মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন।
কর্মজীবী নারীর পরিচালক রাহেলা রব্বানী এ সভায় ‘২০৩০ সালে নারী-পুরুষের সমতা অর্জন:ট্রেড ইউনিয়নসহ সকল ক্ষেত্রে এখনই এক-তৃতীয়াংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে বাস্তবতা ও করণীয়’ শীর্ষক একটি ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন।

বাংলাদেশ