বঙ্গোপসাগরের সম্পদ আহরণে কৌশলগত পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে

বঙ্গোপসাগরের সম্পদ আহরণে কৌশলগত পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে

দেশের জলভাগের সম্পদ আহরণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সরকার কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত সংসদ সদস্য মো. আব্দুল মতিনের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সমুদ্র জয়ের পর বাংলাদেশের সুবিস্তৃত জলভাগের বিবিধ সম্পদ আহরণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সরকার কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বঙ্গোপসাগরের সম্পদগুলো দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগানোর সম্ভাবনার ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে এবং বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এই দিক নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য বেগম ওয়াসিকা আয়শা খানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশে সমদ্রগামী জাহাজ, উপকূলীয় জাহাজ, অভ্যন্তরীণ জাহাজ, রো রো ফেরি, যাত্রীবাহী মাল্টি পারপাস, বার্জ, টাগবোট, অফসোর, ফিশিং ট্রলারসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির জাহাজ নির্মাণ হচ্ছে। বর্তমানে দেশে ৫টি সরকারি ও ৬১টি বেসরকারি পর্যায়ে তালিকাভুক্ত জাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। জাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের বিভিন্ন নদীতীরবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত।

সংরক্ষিত মহিলা আসনের অপর সদস্য বেগম কামরুন নাহার চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিগত বছর বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানির প্রচণ্ড স্রোতের কারণে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ভেঙে যায়। এ কারণে ফেরি চলাচলে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে সাময়িকভাবে ঘাট পুনঃনির্মাণ করে ফেরি চলাচল অব্যাহত রাখে। তাছাড়া ফেরিঘাটের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে অন্তর্বতীকালীন ২টি নতুন ফেরিঘাট নির্মাণ কার্যক্রম হাতে নেয়া হচ্ছে।

বর্তমানে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সমস্যার স্থায়ী সমাধান করার লক্ষ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সুপারিশের আলোকে বর্তমান ফেরিঘাট থেকে প্রায় ২ কি.মি. ভাটিতে গোয়ালন্দ নামক স্থানে ফেরিঘাট স্থানান্তরের লক্ষ্যে প্রকল্প গ্রহণের জন্য ডিপিপি প্রণয়নের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ