প্রতিবন্ধী শিশুদের এমনভাবে শিক্ষিত করে তুলতে হবে যাতে তারা স্বাবলম্বী হতে পারে : শিক্ষামন্ত্রী

প্রতিবন্ধী শিশুদের এমনভাবে শিক্ষিত করে তুলতে হবে যাতে তারা স্বাবলম্বী হতে পারে : শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, দেশের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদেরকেও সমান অধিকার ও সুযোগ দিতে হবে।
জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০-এ সকল শিশুর সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তাদের এমনভাবে শিক্ষিত করে তুলতে হবে যাতে তারা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও স্বাবলম্বী হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে।
নুরুল ইসলাম নাহিদ গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ’অটিজম ও এনডিডি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মূলধারায় একীভূতকরণ বিষয়ক নীতিমালার রূপরেখা প্রণয়ন’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
’ন্যাশন্যাল একাডেমি ফর অটিজম এন্ড নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজএবিলিটিজ প্রকল্প, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ কর্মশালার আয়োজন করে।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, স্বাভাবিক সন্তানের মতোই সমান সুযোগ, যত্ন ও স্নেহ-মমতা দিয়ে প্রতিবন্ধী ও বিশেষ শিশুদের বড় করতে হবে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্র ও সরকার খুবই সহায়কের ভূমিকা পালন করবে। এ বিষয়ে একটি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে।
তিনি বলেন, তাদের অধিকারের বিষয়ে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। প্রতিবন্ধীদের করুনার দৃষ্টিতে নয়, বরং তাদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে গড়ে তুলতে হবে।
এক্ষেত্রে তিনি সংশ্লিষ্টদের বাস্তবসম্মত উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করার আহবান জানান।
কর্মশালায় আলোচকদের সুপারিশের ভিত্তিতে অটিজম ও এনডিডি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মূলধারায় একীভূতকরণ বিষয়ক নীতিমালার একটি প্রস্তাবিত রূপরেখা এবং বাস্তবায়নের কৌশল উপস্থাপন করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজএবিলিটিজ প্রোটেকশন ট্রাস্টের চেয়ারপারসন প্রফেসর ডা. মো. গোলাম রব্বানী।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন এবং ’ন্যাশন্যাল একাডেমি ফর অটিজম এন্ড নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজএবিলিটিজ’র প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর সালমা বেগম বক্তৃতা করেন।
কর্মশালায় প্রস্তাবিত নীতিমালার বিষয়ে বিভিন্ন সুপারিশ নিয়ে আলোচনা হয়। অটিজম ও এনডিডি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার অধিকার বিষয়ে সচেতন করা, প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিত করা, অবকাঠামোগত ও সামাজিক পরিবেশ উপযোগী করা, উপযোগী পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচী তৈরি, উপযোগী শিক্ষাদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতিসহ নীতিমালার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

বাংলাদেশ