পার্বত্য জেলাগুলোতে এক সময় অশান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিল। আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর এখানে শান্তি চুক্তি করে। এরপর সেখানে সত্যিই শান্তি ফিরে আসে।
বুধবার দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বান্দরবান জেলার দুর্গম থানচি উপজেলার থানচি বিদ্যুতায়ন প্রকল্প উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
তিনি বলেন, পাহাড়ের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। পাহাড়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল রাস্তাঘাট তৈরি করা। আমরা সেই রাস্তাঘাট, পুল, সেতু তৈরি করে দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে কোনো মোবাইল নেটওয়ার্ক ছিল না। মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারতো না । আওয়ামী লীগ সরকার আসার পরে মোবাইল ফোন যাতে ব্যবহার করতে পারে সেই মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক আমরা করে দিই ।
সরকার প্রধান আরও বলেন, আজকে আমরা বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে দিলাম। বিদ্যুৎ প্লান্টের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামে ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া যেসব জায়গায় বিদ্যুৎ লাইন যাওয়া কষ্টকর আমরা সেসব জায়গায় সোলার প্যানেল দিচ্ছি। ৪৬ হাজার সোলার প্যানেল বিতরণ করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী ।
দুর্গম থানচি উপজেলার শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক স্কুল তৈরি করে দেয়া হবে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, থানচিসহ বিভিন্ন এলাকায় স্কুলগুলোকে আবাসিক স্কুল তৈরি করে দেয়া হবে। ছেলে মেয়েরা যাতে মন দিয়ে পড়া লেখা করতে পারে সেজন্য আবাসিক স্কুল করে দেয়া হবে ।
২৪ কোটি ৬৪ লাখ ৪২ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত থানচি বিদ্যুতায়ন প্রকল্প উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর, ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল যুবায়ের সালেহীন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈহ্লা, জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিকসহ জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।