প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী চলমান প্রচারণায় জনগণের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সরকারের চলমান প্রচারণার কারণে জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, অভিভাবক, শিক্ষক, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দসহ সকল স্তরের জনগণ এই প্রচারণায় সম্পৃক্ত হয়েছে।
ব্রুনাই দারুসসালামের নবনিযুক্ত হাইকমিশনার হাজাহ যাসুরাই হাজী মাসরি মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সাথে তাঁর জাতীয় সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
আর্থ-সামাজিক খাতে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের বিষয়টি তুলে ধরার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন শুরু করেন।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু জাতির পিতার বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকান্ডের পর দীর্ঘদিন সামরিক শাসকরা দেশ পরিচালনা করায় জাতি গঠনের কাজ বন্ধ হয়ে যায়।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২১ বছর পরে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতা এসে আওয়ামী লীগ সরকার পুনরায় উন্নয়ন কর্মকান্ড শুরু করে এবং দেশের উন্নয়নের জন্য অনেকগুলো যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ করে।
তিনি বলেন, দরিদ্রদের দারিদ্র্যসীমা থেকে তুলে আনতে বিধবা, দরিদ্র এবং পীড়িত লোকদের জন্য ভাতাসহ বিভিন্নভাবে নানা সুরক্ষা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের জন্য নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
শেখ হাসিনা গত অর্থবছরে ৭ দশমিক ১ শতাংশ জিডিপি অর্জনে তাঁর সরকারের সাফল্য এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে আত্মনির্ভরশীল করে তুলতে ক্ষুদ্র সঞ্চয় কর্মসূচি চালুর বিষয়টি তুলে ধরেন।
ব্রুনাইতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রসঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ হাজার বাংলাদেশী সেখানে কাজ করছে এবং তারা উভয় দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।
বৈঠককালে ব্রুনাইয়ের নবনিযুক্ত হাইকমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করে তিনি আনন্দিত। ব্রুনাইতে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের কঠোর পরিশ্রমী হিসেবে উল্লেখ করে তিনি তাদের প্রশংসা করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।