বাংলাদেশের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)’র দল পুনে ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলার জন্য এ মুহূর্তে ভারতে রয়েছেন। কঠোর অনুশীলন ও ব্যস্ত সূচির এক ফাঁকে বাঁহাতি এই ক্রিকেটার বাংলাদেশের ক্রিকেট ও নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ক্রিকইনফোকে। সে সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য:
সাম্প্রতিক এশিয়া কাপের স্কোয়াড থেকে প্রথমে বাদ দেওয়া হয়েছিলো তামিমকে। যদিও অনেক ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে পরে আবার দলে অন্তর্ভুক্ত হন। তখনকার ওই ঘটনার জন্য নিজের ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছেন তামিম। এবিষয়ে তামিম জানান, ঘরোয়া সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাজে পারফরমেন্স করায় নির্বাচকদের দলে জায়গা হয়নি আমার।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে তার রান সংখ্যা ০,৪ ও ০। এবং টেস্ট সিরিজে গড় রান প্রায় ১৫। এ বিষয়ে তামিম বলেন, ‘আমি নিশ্চিত ছিলাম না আমাকে কি করতে হবে। কোথায় গেলে আমি শান্তি পাবো। এর পর আমি কঠোর অনুশীলন করি। রান পাওয়ার জন্য যা করার দরকার তাই করি। মনে হয়, শেষপর্যন্ত সফল হয়েছি।’
টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী তামিম ইকবালের এশিয়া কাপের দল থেকে বাদ পড়ার সময়টিতে সতীর্থদের সহযোগিতা প্রসঙ্গে ক্রিকইনফোকে বলেন, ‘সাধারণত যেকোন দলে এমন ঘটনা ঘটলে সতীর্থরা বিষয়টি নিয়ে বলাবলি করে। তারা আপনাকে জিজ্ঞেস করবে ‘কেন এমনটি হয়েছে এবং কেন আপনাকে বাদ দেওয়া হয়েছে?’ তবে দলের কেউই তখন আমার সঙ্গে এমন আচরণ করেনি। তারা আমার সামর্থ্যরে উপর বিশ্বাস রেখেছিলো এবং আমার যোগ্যতা সম্পর্কে অবগত ছিলো।’
এশিয়া কাপে বাংলাদেশের পারফরমেন্সকে ক্রিকেট ইতিহাসে টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে উল্লেখ করেছেন তামিম। দলের এই পারফরমেন্সকে টেস্টে ম্যাচেও নিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন তামিম। এজন্য বেশি বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলার ওপর জোর দিয়েছেন এশিয়া কাপে টানা চারটি অর্ধশতক হাঁকানো তামিম।
‘আমাদের এই শুভ সূচনাটিকে টেস্ট ক্রিকেটে এখনই কাজে লাগানোর উপযুক্ত সময়। লম্বা বিরতি দিয়ে টেস্ট ক্রিকেট খেলি আমরা। সত্যিকার অর্থে টেস্টে উন্নতি করতে হলে প্রচুর ম্যাচ খেলা প্রয়োজন। আপনি লক্ষ্য করে থাকবেন আমারা নিয়মিতই ওয়ানডে ম্যাচ খেলে থাকি, যার জন্যই পারফরমেন্সে পরিবর্তন আসছে। বিশ্ব দেখছে বাংলাদেশের উন্নতির জায়গাগুলো।’