দেশের উত্তরাঞ্চলে কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ। উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলা নিয়ে গঠন করা হয়েছে বগুড়া জোন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে তারা দেশি-বিদেশি পর্যটক ও গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যক্রম শুরু করেছে।
এজন্য বগুড়া উপশহরে একটি ভাড়া বাড়িতে ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। বগুড়া জোনে জনবল হিসেবে আপাতত ৩০ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বগুড়া জোনের দায়িত্বে থাকবেন একজর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
বর্তমানে এই পদটি শূন্য। শিগগিরই পদটি পূরণ করা হবে।
ট্যুরিস্ট পুলিশের একটি সূত্র জানায়, প্রত্ন এলাকাগুলোতে দেশি-বিদেশি পর্যটক ও দর্শনার্থীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই মূলত ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করবে। এছাড়া প্রত্নস্থল যেমন- বগুড়ার মহাস্থানগড়, গোকুল মেধ, নওগাঁর পাহাড়পুর, রংপুরের তাজহাট জমিদার বাড়ি, নাটোরের রাজবাড়ি, দিনাজপুরের কান্তজীর মন্দিরসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নস্থলগুলার নিরাপত্তা জোরদার, নাশকতা এড়ানোসহ সার্বক্ষণিক নজরদারি করবে।
সূত্র জানায়, ট্যুরিস্ট পুলিশের বগুড়া জোনের আওতায় বৃহত্তর রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, দিনাজপুর ও রংপুরের ১৬টি জেলা থাকবে।
বগুড়া জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত (ইনচার্জ) ট্যুরিস্ট পুলিশ পরিদর্শক নজরুল ইসলাম জানান, ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও কুয়াকাটার পর উত্তরাঞ্চলে সবেমাত্র যাত্রা করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। জনবল এখনও পর্যাপ্ত নয়। তারপরও পর্যটক ও দর্শনার্থীদের সেবা দেয়ার কোনো কমতি থাকবে না। আগামীতে এ অঞ্চলে ট্যুরিস্ট পুলিশের বিভাগ হবে।
বগুড়ার মহাস্থান জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান মজিবুর রহমান জানান, ট্যুরিস্ট পুলিশ কার্যক্রম চালু হয়েছে। এ উদ্যোগ ভালো। এতে পর্যটক ও দর্শনার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে না। তারা জাদুঘর, মহাস্থান মাজার এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন।