রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ওয়াহিদা সিফাতকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তার স্বামী মো. আসিফ পিসলিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলার অন্য আসামিদের খালাস দিয়েছেন আদালত।
সোমবার ঢাকা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক সাঈদ আহম্মেদ এ রায় ঘোষণা করেন।
আত্মহত্যায় সহায়তা করার অপরাধে ১৮৬০ সালের দ্য পেনাল কোডের ৩০৬ ধারা মোতাবেক দোষী সাব্যস্ত করে পিসলিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এর আগে ১২ ফেব্রুয়ারি আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৯ মার্চ সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাগান এলাকায় অ্যাডভোকেট হোসেন মোহাম্মদ রমজানের বাড়িতে রহস্যজনক মৃত্যু হয় গৃহবধূ ওয়াহিদা সিফাতের। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। প্রথমে সিফাত আত্মহত্যা করেছেন বলে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন দাবি করলেও দ্বিতীয় দফার ময়নাতদন্তে হত্যাকাণ্ড প্রমাণিত হয়।
এ ঘটনায় ২ এপ্রিল মহানগরীর রাজপাড়া থানায় সিফাতের চাচা মিজানুর রহমান খন্দকার সিফাতের স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ ধারায় যৌতুকের দাবিতে হত্যা ও সহায়তা করার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
২০১৬ সালের ২৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আহম্মেদ আলী চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আসিফ পিসলি বাদে মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সিফাতের শ্বশুর হোসেন মোহাম্মদ রমজান, শাশুড়ি নাজমুন নাহার নজলী এবং প্রথম ময়নাতদন্তারী চিকিৎসক জোবাইদুর রহমান।