নিজেদের মাঠে খেলা। সুতরাং, স্বাগতিক হিসেবে জিম্বাবুয়েই শক্তিশালি হওয়ার কথা। তারওপর প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। অথচ টেস্ট প্লেইং দেশ হিসেবে চরম লজ্জা উপহার দিলো জিম্বাবুইয়ানরা। আফগানিস্তানের করা ২৫৩ রানের জবাব দিতে নেমে মাত্র ৫৪ রানে অলআউট জিম্বাবুয়ে। বড় পরাজয়ের সঙ্গে ৫ ম্যাচের সিরিজটাও হারাতে হয়েছে ২-৩ ব্যবধানে। টেস্ট প্লেইং দেশ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতে উল্লাসে মাতোয়ারা আফগানিস্তান।
হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে সিরিজের শেষ ম্যাচটি ছিল জিম্বাবুয়ে এবং আফগানিস্তানের জন্য এক অর্থে ফাইনাল। কারণ, আগের চার ম্যাচের মধ্যে দু’দলই জিতেছে ২টি করে ম্যাচ। শেষ ম্যাচে যে জিততে, সিরিজ তারই।
এমন সমীকরণকে সামনে রেখে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ের সামনে ২৫৪ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় আফগানিস্তান। যদিও বৃষ্টির কারণে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর খেলা যখন শুরু করা হলো, তখন জিম্বাবুয়ের সামনে লক্ষ্য স্থির করা হলো ২২ ওভারে ১৬১ রান করতে হবে তাদেরকে।
মাত্র ২২ ওভারে ১৬১ রান! তবে টি-টোয়েন্টির এই যুগে খুব সম্ভব একটি কাজ; কিন্তু এই রান তাড়া করতে নেমে বালির বাধের মত ভেঙে যেতে থাকে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপ। রায়ান ব্রুল আর গ্রায়েম ক্রেমারছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যানই দুই অংকের দেখা পেলেন না। সর্বোচ্চ ১৪ রান করেন ক্রেমার। বাকিরা ছিলেন শুধু আসা-যাওয়ার মিছিলে।
শেষ পর্যন্ত আফগান বোলারদের বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে মাত্র ১৩.৫ ওভারে ৫৪ রানে অলআউট জিম্বাবুয়ে। ৩টি করে উইকেট নেন আমির হামজা, মোহাম্মদ নবি। ২ উইকেট নেন রশিদ খান। বাকি দুই উইকেট ভাগ করে নেন দৌলত জাদরান এবং গুলবাদিন নাইব। ডাকওয়ার্থ-লুইস মেথডে শেষ পর্যন্ত ১০৬ রানে ম্যাচ জয়ের সঙ্গে সিরিজও জিতে নেয় আফগানিস্তান।
জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট ইতিহাসে অবশ্য ৫৪ রান চতুর্থ সর্বনিম্ন রান। এর আগে ২০০৪ সালে হারারেতেই শ্রীলংকার কাছে ৩৫ রানে অলআউট হয়েছিল তারা। ২০০১ সালে শ্রীলংকার কাছেই একবার ৩৮ রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড আছে তাদের। ২০০৯ সালে বাংলাদেশের কাছেই চট্টগ্রামে ৪৪ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুইয়ানরা।
তবে সবচেয়ে কম দৈর্ঘ্যের ম্যাচ হিসেবে লজ্জার রেকর্ডটা গড়েই ফেললো জিম্বাবুয়ে। এর আগে সর্বনিম্ন ১৪ ওভারেই (৮৪ বল) অলআউট হওয়ার রেকর্ড ছিল নামিবিয়ার। এবার তাদের চেয়েও এক বল কমে (১৩.৫ ওভার, ৮৩ বল), আফগানিস্তানের কাছে অলআউট হয়ে সব চেয়ে কম বল খেলার রেকর্ড গড়লো জিম্বাবুয়ে।