আদালতে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হাজির না হওয়ায় ১৩ বছরেও শেষ হয়নি ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার বিচার। জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরও তারা সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হচ্ছেন না। এ কারণে মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ করতে পারছে না রাষ্ট্রপক্ষ।
আলোচিত এই মামলাটি বর্তমানে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন। মামলায় ৫৮ সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ৩৮ জন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। তবে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী দুই ডাক্তারসহ ২০ জন বাকী রয়েছেন। তারা সাক্ষ্য দিলেই মামলার কার্যক্রম শেষ করবে রাষ্ট্রপক্ষ।
ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বশির উদ্দিন মিঞা জাগো নিউজকে বলেন, সাক্ষীর অভাবে মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ করতে পারছি না। জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরও সাক্ষীরা আদালতে হাজির হচ্ছে না। তারা সাক্ষ্য দিলেই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ করবো।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সামনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন ড. হুমায়ুন আজাদ। তাকে চাপাতি ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। ঘটনার পরদিন হুমায়ুন আজাদের ভাই মঞ্জুর কবির রমনা থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
ওই হামলার পর হুমায়ুন আজাদ ২২ দিন সিএমএইচে এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসারত ছিলেন। পরে জার্মানির মিউনিখে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একই বছরের ১২ আগস্ট তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়।
এ মামলায় জেএমবির শূরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক ও আনোয়ার আলম ওরফে ভাগিনা শহিদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- জেএমবির শূরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগিনা শহিদ, নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু (পলাতক) ও সালাহউদ্দিন (পলাতক)।