সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খুলনা বিভাগে চলমান পরিবহন ধর্মঘট অযৌক্তিক, এই ধর্মঘট করে কোনো লাভ হবে না।
রোববার জাতীয় ঈদগাহের গেটের সামনে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) অনুমোদিত এবং ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীরসহ ৫ জন নিহতের মামলায় বাস চালক জামির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়ার প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গাসহ খুলনা বিভাগে এই পরিবহন ধর্মঘট চলছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হাইকোর্টে আপিল করা, তারপর সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার সুযোগ রয়ে গেছে। আমি তাদেরকে এই সুযোগ কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়েছি। এখন অযৌক্তিক এ ধর্মঘট শুধু জনগণের ভোগান্তিই বাড়াবে। এতে তাদের কোন লাভ হবে না।’
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রায়ের বিষয়ে বিএনপি নেতারা মনগড়া বক্তব্য দিচ্ছেন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বুঝি না বিএনপি নেতারা কেন ধরেই নিয়েছেন যে, মামলায় বেগম জিয়ার সাজা হবে। দুর্নীতির মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার সাজা হবে, নাকি তিনি খালাস পাবেন এটা আদালতের বিষয়।’
সাজা হলেও বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেনÑ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি তো একজন বিজ্ঞ আইনজীবী। তিনি ভালো করেই জানেন, নিম্ন আদালতে একটা রায় হলে, সেই রায়টা হয়তো তিনি (মওদুদ আহমেদ) ভেবেছেন হাইকোর্ট এবং সুপ্রীম কোর্টে করিয়ে চূড়ান্ত রায় হতে সময় নিবেন। এ সময়ের মধ্যে হয়তো নির্বাচনের সময় এসে যাবে। তাই এই বোধ থেকেই হয়তো তিনি এমন কথা বলেছেন।
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির কারণে পরিবহনের ভাড়া বাড়ানো হবে কিনা? এবিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে পরিবহনে একটা প্রতিক্রিয়া আসে। গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির পরে আমরা পরিবহনের ভাড়া বাড়ায়নি এমন প্রমাণও আছে। পরিবহনের ভাড়া নির্ধারণে বিআরটিএ’র একটি কমিটি আছে। তারা তেল এবং গ্যাসের দাম বাড়ার পর পরিবহনের স্টেক হোল্ডারদের সাথে বৈঠক করে ভাড়া নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়। এখানে বাড়ানো হতো পারে আবার পূর্বেরটাও থাকতে পারে। তবে, এই মুহূর্তে আমি কিছু বলতে পারছি না।
সেতুমন্ত্রী জানান, আজ রাজধানীতে তিন স্থানে অভিযান চলছে। জাতীয় ঈদগাহের সামনে ছাড়াও বাকী দুটি স্থান হল জাতীয় প্রেসক্লাব এবং হোটেল রেডিসনের সামনে। জাতীয় ঈদগাহ ও প্রেসক্লাবের সামনে একঘণ্টার অভিযানে ২১টি মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা, ৫টি গাড়ি ডাম্পিং এবং চার জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।