জার্মানির হেইডেলবাগে শনিবার একটি বেকারির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের ভিড়ের মধ্যে হঠাৎই ঢুকে পড়ে একটি গাড়ি। এই ঘটনায় গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যান এক বৃদ্ধ। আহত হয়েছেন দুইজন। গাড়িচালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এই ঘটনার কারণ সম্পর্কে এখনো পরিষ্কার কোন ধারণা পায়নি পুলিশ। যদিও প্রশাসনের দাবি, এখানো সন্ত্রাসী হামলার কোন আলামত পায়নি তারা।
জার্মানিতে নিয়মিত বিরতিতে একর পর এক সন্ত্রাসী হামলার হয়ে চলেছে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন ৩২ বছর বয়সী এক অস্ট্রিয়ান যুবক ও ২৯ বছর বয়সী এক নারী, যিনি বসনিয়া হার্জেগোভিনার নাগরিক বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।
এক বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, “আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখেছি। না, এর পেছনে কোনো সন্ত্রাসী তৎপরতা নেই।”
দুর্ঘটনার পর পরই একটি ছুরি নিয়ে চালককে বেরিয়ে যেতে দেখা গেছে, পরে তিনি একটি সুইমিং পুলে ঝাঁপিয়ে পড়েন। পরে গুলি করে তাকে গ্রেপ্তার করে হাসপাতালে নেয় পুলিশ।
পুলিশের মুখপাত্র হেইকো ক্র্যাঞ্জ বলেন, বিশেষজ্ঞরা গাড়িতে থাকা জিনিসপত্র, ডিএনএ ও হাতের আঙ্গুলের ছাপ খতিয়ে দেখছে। সুস্থ হলে ওই গাড়ি চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীর বয়স ৩৫ বছর এবং তিনি জার্মান নাগরিক। এছাড়া তার অভিবাসী সম্পর্কিত কোন অতীত প্রমাণও নেই। নিহত ব্যক্তিও জার্মানির নাগরিক। তার বয়স ৭৩ বছর এবং আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়। এছাড়া আহত দুইজনের চোট খুবই সামান্য এবং তারা চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমকে পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে, আটক হওয়া ওই ব্যক্তি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন এবং এই পুরো ঘটনা তিনি একাই ঘটিয়েছেন।
ডিসেম্বরে বার্লিনে একটি ক্রিসমাস বিপণিবিতানে ট্রাক ঢুকিয়ে দেওয়ার ঘটনার পর থেকেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে জার্মান কর্তৃপক্ষ। শরণার্থী হিসেবে আশ্রয়প্রার্থী তিউনশিয়ানের ওই হামলায় ১২ জন নিহত হন।