উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়ন প্রকল্প একাডেমিক ইনোভেশন ফান্ড (এআইএফ)-এর দ্বিতীয় রাউন্ড চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে ।
মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অডিটোরিয়ামে ৫ বছর মেয়াদী (২০০৯-২০১৩) এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ৬৮১ কোটি টাকার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ।
এতে যৌথভাবে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
বিশ্বমানের জ্ঞানভিত্তিক সমাজগঠন এবং উচ্চশিক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের গবেষণা এবং মুল্যবান মানবসম্পদ সৃষ্টি এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। এআইএফ’র দ্বিতীয় পর্বে বিভিন্ন বিশ্বাবিদ্যালয় থেকে ৫৫২টি প্রস্তাব করা হয়। এরমধ্য থেকে ১৮৯ কোটি টাকা বরাদ্দের লক্ষ্যে ২৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৬টি উপ-প্রকল্প চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়। এরমধ্যে ২৫টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
গৃহীত ১০৬টি উপ-প্রকল্পে ৪টি বিভাগ দেখানো হয়েছে। এরমধ্যে মানবিক এবং সমাজ বিজ্ঞানের ১৭টি প্রকল্পে ১৩.৯৩ কোটি টাকা, বিঞ্জান ও প্রযুক্তির ৫৭টি প্রকল্পে ১৩৮.৫১ কোটি টাকা, আত্মকর্মসংস্থানের ২২টি প্রকল্পে ৬.৫৮ কোটি টাকা এবং ইউনিভার্সিটি ওয়াইড ১০টি প্রকল্পে ২৯.২১ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এরমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছে ২৬.৪৪ কোটি টাকার ১০টি উপ-প্রকল্প। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ) ২৬.১৭ কোটি টাকার ১১টি উপ-প্রকল্প, বাংলাধেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ১৯.৮২ কোটি টাকার ৮টি উপ-প্রকল্প, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ১৪.৫৪ কোটি টাকার ৮টি উপ-প্রকল্প, রাজশাহী বিশ্ববিধ্যালয় ১৩.৮৬ কোটি টাকার ১০টি উপ-প্রকল্প এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিখাতে ৫৭টি উপ-প্রকল্পের জন্য ১৮৯ কোটি টাকার মধ্যে ১৩৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. এ কে আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, শিক্ষাসচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, ইউজিসি’র উপ-প্রকল্প পরিচালক কানিজ ফাতেমা, বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি ড. মোখলোসুর রহমান প্রমুখ।