আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা এটা বিএনপির নিজস্ব বিষয় : তোফায়েল আহমেদ

আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা এটা বিএনপির নিজস্ব বিষয় : তোফায়েল আহমেদ

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা, এটা বিএনপির নিজস্ব বিষয়।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার এবং এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেই ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির প্রথমে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে বিএনপি আসবে কি না এটা সম্পূর্ণ তাদের নিজস্ব বিষয়। নির্বাচন কারো জন্য বসে থাকবে না। তবে আমি মনে করি বিএনপি অবশ্যই নির্বাচনে অংশ নেবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী শনিবার রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে রাজনৈতিক সংলাপের অপরিহার্যতা’ শীর্ষক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ কিরণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন এটিএন বাংলার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তাসিক আহমেদ।
সংলাপের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও ফলাফল বর্ণনা করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আব্দুল জলিল ও মান্নান ভুইয়ার মধ্যে সংলাপ হয়েছিল কিন্তু তা সফল হয় নি। পরবর্তীতেও অনেক সংলাপ হয়েছে তার ফলও শুভকর ছিল না। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পূর্বে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ২ দিনের মধ্যে সংলাপের আহবান জানিয়ে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী পরের দিনই টেলিফোন করে তাকে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ৫টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি আসেননি।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সংলাপ ও নির্বাচনে না এসে বিএনপি তখন ভুল করেছে। তাই বিএনপির উচিত আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা। যার জন্য সংলাপের কোন প্রয়োজন নেই।
বর্তমান সরকারের পূর্ববর্তী সময়েই ৫টি সিটি কর্পোরেশনে বিএনপি জয়লাভ করেছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এই সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব, এটা ইতোমধ্যে সরকার প্রমাণ করেছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘এটা সত্য যে ১৫ ফেব্রুয়ারি বা ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন হোক কেউ তা চায় না। কিন্তু বিএনপির মতো একটা বড় দল নির্বাচনে না আসলেতো কিছুই করার নেই। তবে এটাও সত্য যে, ১৯৯৬ এর ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন টিকেনি। ১ মাসের মাথায় ওই সরকার পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন টিকেছে এবং দেশে-বিদেশে স্বীকৃতি পেয়েছে।’
তিনি মনে করেন, বিএনপি নির্বাচনে আসলে ওই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও সুন্দর একটা নির্বাচন হবে। তবে এ সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে।
সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি বা ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন কেউ চায় না। এ ধরনের নির্বাচন বিভেদ ও বিভাজনের রাজনীতি তৈরী করে। আগামী জাতীয় নির্বাচন যাতে সকল দলের অংশগ্রহণে আবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়। মানুষ যাতে সে নির্বাচনে অত্যন্ত উৎসব মূখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। এটাই সকলের কাম্য। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ ও সাংবাদিক সোমা ইসলাম।
প্রতিযোগিতায় সরকারি দল বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি বিরোধী দল শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে হারিয়ে জয় লাভ করে।

বাংলাদেশ