খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘এটা ঠিক যে পুষ্টির দিক দিয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। বাংলাদেশের মতো দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশও পিছিয়ে আছে। আমাদের হাঙ্গার ইনডেক্স ২৩/২৪ শতাংশ। আমাদের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে পুষ্টিসম্মত খাবার পৌঁছে দেওয়া।’
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো-ফ্রি কিডস্ (সিটিএফকে)’ এর আয়োজনে ‘বাংলাদেশের বিড়ি : মিথ ও বাস্তবতা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে খাবারের যথেষ্ট মজুদ আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে পর্যাপ্ত খাবার আছে। বর্তমানে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই। তবে যাদের টাকা আছে তারা সব খাবার পাচ্ছেন।’
চালের দাম কমেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
গ্রামে আয় বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গত ৪ বছরে যে কৃষি শ্রমিক দিনে মজুরি পেতেন ১২৫ টাকা বর্তমানে তিনি পান ২৫০ টাকা করে।’
তামাকের ওপর কর বাড়ানোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি নীতিগতভাবে তামাকের ওপর কর বাড়ানোকে সমর্থন করি।’
অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তুর ওপর আলোচনায় নারীনেত্রী ফরিদা আক্তার বলেন, সংসদে এমপিরা বিড়ি উৎপাদনের পক্ষে যুক্তি দিয়ে কথা বলেন, যা দু:খজনক। বিড়ি কারখানা বন্ধ করে দিয়ে বিড়ি শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে তিনি সরকারের প্রতি আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ক্যাব’র সভাপতি কাজী ফারুক, বিশিষ্ট নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ আবদুস সামাদ, সাংবাদিক সুশান্ত সিনহা, আমীন আল রশীদ প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিড়ি উৎপাদন খাতের ওপর আমীন আল রশীদ ও সুশান্ত সিনহার যৌথভাবে প্রণীত একটি গবেষণা রিপোর্টের মোড়ক উন্মোচন করেন খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী।