রাত ও দিন আল্লাহ তাআলার সৃষ্টি। আল্লাহ তাআলা দিনকে করেছেন হালাল রুটি-রুজি অর্জনের মাধ্যম এবং রাতকে করেছেন প্রশান্তি লাভের মাধ্যম। মানুষ সাধারণত রাতের বেলা ঘুমায়। আর রাতের এ ঘুমও আল্লাহর ইবাদাতে পরিণত হয়, যদি তা হাদিস অনুযায়ী করা যায়।
সাওয়াব লাভের নিয়তে হাদিসের যাবতীয় হিকমাত ও উপদেশ গ্রহণ করা সবার জন্যই প্রয়োজন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতের জন্য রাতের বেলায় ঘুমানোর আগে এমনই একটি আমলের কথা হাদিসে তুলে ধরেছেন।
হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত একবার গম পেষার চাক্কি ঘুরানোর কারণে হজরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহার হাতে ফোস্কা পড়ে যায়। তখন তিনি একজন খাদেম চেয়ে নেয়ার উদ্দেষে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে গেলেন কিন্তু তাকে পেলেন না।
তখন তিনি তাঁর আসার উদ্দেশ্যটি হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে জানালেন। এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ঘরে আসলেন তখন আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা তাঁকে বিষয়টি জানালেন।
তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের নিকট এমন সময় আসলেন যখন আমরা বিছানায় বিশ্রাম গ্রহণ করছি। তখন আমি উঠতে চাইলে তিনি বললেন, নিজ জায়গায়ই থাকো। তারপর আমাদের মাঝে তিনি এমনভাবে বসলেন যে, আমি তাঁর দু`পায়ের শীতল স্পর্শ আমার বুকে অনুভব করলাম।
তিনি বলেন, আমি কি তোমাদের এমন একটি আমল বলে (শিখিয়ে) দেব না? যা তোমাদের জন্য একটি খাদেমের চাইতেও অনেক বেশি উত্তম।
(তখন তিনি বললেন) যখন তোমরা শয্যা গ্রহণ করতে (রাতের বেলায় ঘুমাতে) যাবে, তখন তোমরা আল্লাহু আকবার (اَللهُ اَكْبَر) ৩৩ বার; সুবহানাল্লাহ (سُبْحَانَ الله) ৩৩ বার; আলহামদুলিল্লাহ (اَلْحَمْدُ لِله) ৩৩ বার পড়বে।
এটা তোমাদের জন্য একটি খাদেমের চাইতেও অনেক বেশি মঙ্গলজনক। ইবনে শিরিন বলেন, তাসবিহ ৩৪ বার। (বুখারি)
আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুহাম্মাদিকে রাতের বেলায় ঘুমাতে যাওয়ার আগে ছোট্ট এ তাসবিহের আমলটি নিয়মিত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।