রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বিশ্বায়নের যুগে রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ড, কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও গবেষণাসহ নানা কারণে এ দেশের মানুষকে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে ভ্রমণ করতে হয়। সঙ্গত কারণেই পাসপোর্টের চাহিদা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনপ্রত্যাশা পূরণে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরকে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখতে হবে।
পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ-২০১৭ উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জনসেবাই সরকারের মুখ্য উদ্দেশ্য ও পবিত্র দায়িত্ব। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরকে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে হবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে এবারের প্রতিপাদ্য : ‘পাসপোর্ট নাগরিক অধিকার, নিঃস্বার্থ সেবাই অঙ্গীকার’- যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।’
তিনি বলেন, বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের উদ্যোগে ‘পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ-২০১৭’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
রাষ্ট্রপতি বলেন, পাসপোর্ট নাগরিকের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় পরিচয়পত্র। বিশ্ব দরবারে পাসপোর্ট কেবল নাগরিকের জাতীয় পরিচয়ই তুলে ধরে না, এর মাধ্যমে জাতির আভিজাত্য, দেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ভাবমূর্তি ফুটে ওঠে। সময়ের পরিক্রমায় তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশের সাথে সাথে এনালগ পাসপোর্ট পদ্ধতির পরিবর্তে ডিজিটাল পদ্ধতির উন্মেষ ও বিকাশ ঘটেছে। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বর্তমান সরকার ২০১০ সালে এমআরপি ও এমআরভি বাস্তবায়নের পর এখন ই-পাসপোর্ট প্রণয়নের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। পাসপোর্ট সেবার মাধ্যমে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতর দেশবাসী ও বাংলাদেশে আগত বিদেশি নাগরিকদের প্রশংসা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দেশ ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতর সেবার মানোন্নয়নে আরো তৎপর থাকবে-দেশবাসী তা প্রত্যাশা করে।
উল্লেখ্য, ‘পাসপোর্ট নাগরিক অধিকার : নিঃস্বার্থ সেবাই অঙ্গীকার’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে দ্বিতীয়বারের মতো আজ শনিবার থেকে পাসপোর্ট সপ্তাহ-২০১৭ উদযাপন করছে বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদফতর। সাত দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মাধ্যমে পালন করা হবে এই সপ্তাহ।