বিএনপি যখনই বিপদে পড়ে তখনই ষড়যন্ত্র খুঁজে পায় : অর্থমন্ত্রী

বিএনপি যখনই বিপদে পড়ে তখনই ষড়যন্ত্র খুঁজে পায় : অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জাতীয় সংসদে গঠনমূলক একটি বিরোধী দলের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
তিনি বলেন, গঠনমূলক বিরোধী দল থাকলে সংসদ আরো বেশী প্রাণবন্ত ও কার্যকর হয়।
নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপির সমালোচনা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তারা যখনই বিপদে পড়ে, তখনই ষড়যন্ত্র খুঁজে পায়। আমরা আশা করি উন্নয়নের জন্য আগামী নির্বাচনেও দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে।’
এএমএ মুহিত শুক্রবার সকালে সিলেটের লালাবাজারে একটি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, গঠনমূলক বিরোধী দল থাকলে সংসদ আরো কার্যকর হয়। কারণ সংসদে সমালোচনা হলে সরকার ভাল কাজে আরো সচেষ্ট থাকবে।
এসময় তিনি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রাখতে হলে আগামী ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।
জাতীয় সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামদ চৌধুরী, জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
লালাবাজারের মসজিদটি প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মসজিদের জন্য ভূমি দান করা হয়।
এসসিসি ও ভারত সরকারের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর : সিলেট সিটি কর্পোরেশন (এসসিসি) ও ভারত সরকারের মধ্যে ‘শিক্ষা অবকাঠামো বিনির্মাণ ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পরিবেশ উন্নয়ন’ বিষয়ক একটি প্রকল্প চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে ২৪ কোটি ২৮ লাখ টাকার ভারতীয় অনুদানের দ্বিপাক্ষিক চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।
সিলেট সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে অর্থমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অতিরিক্ত অর্থ সচিব শাহ মো. আমিনুল ইসলাম, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব এবং ভারত সরকারের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রীংলা এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এসময় সিটি কর্পোরেশন ও ভারত সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি স্বাক্ষর শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, ভারত সরকারের সহযোগিতা বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। আজকের এই প্রকল্পটিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এটির যথাযথ বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
ভারত সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের এই সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে এবং আরো প্রসারিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ভারতীয় হাই কমিশনার বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ভারত বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে পেরে নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করে। বঙ্গবন্ধু যেভাবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন শেখ হাসিনাও সেই সম্পর্ক বিদ্যমান রেখেছেন। দু’দেশের এই সম্পর্ক অটুট থাকবে বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সার্কিট হাউজ থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, গ্যাসের দাম অত্যন্ত কম ছিলো। তাই, দাম বাড়ানো হয়েছে। ব্যবহারকারিদের জন্য এটা খুব বেশি কিছু নয়।

বাংলাদেশ