আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি নির্বাচনকালীন সরকারের নামে দেশের জনগণ ও আদালতকে হুমকি না দেয়ার জন্য বিএনপির নেতাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
তিনি আজ দুপুরে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা ও শোক র্যালি-পূর্ব সমাবেশে ‘বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না’ বিএনপির এ দাবির জবাবে এ আহবান জানান।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ আলোচনা সভা ও শোক র্যালির আয়োজন করা হয়।
আওয়ামী লীগের মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া দেশে কোন নির্বাচন হবে না বলে ঘোষণা দিয়ে দেশের আদালত ও দেশের জনগনকে হুমকি দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির এ ঘোষনার মাধ্যমে আদালতের বিচারকদের ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে এবং জনগণের ওপর আবারো পেট্রোলবোমা নিক্ষেপের হুমকি দেয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আরো বলেন, ‘দয়া করে দেশের আদালত ও জনগণকে হুমকি দেবেন না। জনগণের ওপর পেট্রোলবোমা মেরে অতীতে যেভাবে গর্তে লুকিয়েছিলেন ভবিষ্যতে সে গর্তেও আর লুকাতে পারবেন না।’
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জোটের সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, ড্যানি সিডাক ও সাধারণ সম্পাদক ফাল্গুনী হামিদ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির নেতাদের মত আওয়ামী লীগও চায় বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অধীনে দলটি আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। কিন্তু বিএনপির যে সকল নেতা খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন হবে না বলে বক্তব্য দেয় তারাই চায় বেগম জিয়া দ্রুত জেলে যাক।
চিত্রনায়ক ফারুক বলেন, বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে সম্মান করতে হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আগে সম্মান করতে শিখতে হবে। কারণ তিনি ব্যাতিত বাংলা ভাষা, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, সাহিত্য ও সংস্কৃতি অসম্পূর্ণ।
ফাল্গুনী হামিদ বলেন, মহান শহীদ দিবসকে ২১ ফেব্রুয়ারি না বলে ৮ ফাল্গুন হিসেবে আমাদের পালন করা উচিত। তা না হলে সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার শুধু স্লোগানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।