পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ২০৩০ সালের আগেই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ১৭টি লক্ষ্যের মধ্যে ১৬টি লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সক্ষম হবে।
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক লক্ষ্যমাত্রাটিকে একটি বৈশ্বিক সংকট হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করার বিকল্প নেই। মন্ত্রী বলেন, কাউকে পশ্চাতে রেখে নয়, সকলকে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন এগিয়ে নিতে হবে। সমাজের পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি রোববার ঢাকায় পিকেএসএফ আয়োজিত বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে বাংলাদেশে এসডিজি বাস্তবায়ন সুসংহত করতে ‘পিপলস ভয়েস’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন।
পিকেএসএফ সভাপতি ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াদুদ, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ এবং পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল করিম বক্তব্য রাখেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের লক্ষ্য শুধু দারিদ্র্য বিমোচন নয় বরং বিশ্বে বাংলাদেশকে একটি উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে তোলা।
তিনি বলেন, লক্ষ্যমাত্রা যদি ঠিক না থাকে তবে কাজের গতিশীলতা আসবে না। আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রাণশক্তি হচ্ছে শিক্ষা। আমাদের সময় এসেছে শিক্ষার গুণগতমান আরো উন্নত করার। ২০৩০ সালে আমাদের অর্থনীতি হবে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি। মন্ত্রী তাঁতী, কামার, কুমার, জেলে এবং বেদেসহ পিছিয়ে থাকা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিশ্চিত করতে সরকার গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির উল্লেখ করেন।