বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন আগামীকাল শনিবার থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৮ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পাঁচ দিনব্যাপী এই সম্মেলন আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে শুরু হবে।
সম্মেলনে যোগদানের উদ্দেশ্যে বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী কে কে শর্মা আইপিএস এর নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল আগামীকাল শনিবার ঢাকায় এসে পৌঁছবে। প্রতিনিধিদলে বিএসএফ সদর দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ফ্রন্টিয়ার আইজি, ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেনের নেতৃত্বে ২৮ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করবে।
বিজিবি সূত্র আরো জানায়, বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালকবৃন্দ, বিজিবি সদর দপ্তরের সংশ্লিষ্ট স্টাফ অফিসারবৃন্দ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যৌথ নদী কমিশন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, সার্ভে অব বাংলাদেশ এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ প্রতিনিধিত্ব করবেন।
একই সাথে সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) পরিচালিত বিএসএফ ওয়াইভস ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন’ (ইডডঅ) এর ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল বিজিবি পরিচালিত সীমান্ত পরিবার কল্যাণ সমিতি’ (সীপকস্) এর বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিদর্শন করবেন।
সম্মেলন উপলক্ষে আগামীকাল সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ জাতীয় বাস্কেটবল জিমনেশিয়ামে বিজিবি-বিএসএফ প্রীতি বাস্কেটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে।
এবারের সম্মেলনের আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে সীমান্ত এলাকায় নিরস্ত্র বাংলাদেশী নাগরিকদের গুলি/হত্যা/আহত করা, বাংলাদেশী নাগরিকদের অপহরণ/আটক, অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাচার, সীমান্তের অপর প্রান্ত থেকে বাংলাদেশে ফেন্সিডিল, মদ, গাঁজা, হেরোইন এবং ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের চোরাচালান বন্ধ, অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম, আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে উন্নয়নমূলক নির্মাণ কাজ, আখাউড়া আইসিপির ভারতীয় অংশে ইটিপি (এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট) স্থাপন, উভয় দেশের সীমান্তে নদীর তীর সংরক্ষন কাজে সহায়তা, চোরাচালানী ও অপরাধীদের বিষয়ে তথ্য বিনিময় এবং উভয় বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির উপায় নিয়ে সম্মেলনে আলোচনা হবে।
বৈঠক শেষে সম্মেলনের যৌথ দলিল স্বাক্ষরিত হবে। সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষে পারস্পরিক সুসম্পর্ক জোরদার ও সৌহার্দ বৃদ্ধির অংশ হিসেবে ভারতীয় প্রতিনিধিদল দেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করবেন এবং আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি প্রতিনিধি দলটি ঢাকা ত্যাগ করবেন।