শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ দেশের সর্বত্র মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাংস্কৃতিক চর্চা বাড়ানোর আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, কেবল নাট্যমঞ্চ কিংবা হলরুমে নয়, দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলকভাবে এই চর্চা হওয়া জরুরি।
শিক্ষামন্ত্রী শুক্রবার দুপুরে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় নাট্যজন সম্মাননা-২০১৬ ও নাট্য বিষয়ক বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
‘নাটকে-নাটকে উঠুক জ্বলে একাত্তর’ এই স্লোগানে প্রতিষ্ঠিত বিয়ানীবাজার সাংস্কৃতিক কমান্ড (বিসাক) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিসাক সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ রচিত ‘নাট্যচর্চায় বিয়ানীবাজার’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনের মধ্যদিয়ে বক্তৃতা পর্ব শুরু হয়।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে। পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির বিকাশ সাধনে প্রতিটি অঙ্গনে এর চর্চা বাড়াতে হবে। এরফলে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শিক্ষামন্ত্রী দেশের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। এসব ক্ষেত্রে দ্রুত উন্নয়ন সাধনের লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগে আরো পদক্ষেপ গ্রহণের জন্যও তিনি আহ্বান জানান।
বিসাক সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, সিলেটের চেয়ারম্যান একেএম গোলাম কিবরিয়া তাপাদার, সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান, গ্রন্থের প্রকাশক ও বিসাক’র সাবেক সভাপতি আব্দুস শুকুর।
অনুষ্ঠানে নাট্যাঙ্গণে স্থানীয় পর্যায়ে বিশেষ অবদানের জন্য প্রয়াত কথা সাহিত্যিক তাজ উদ্দিন আহমদ, (মরনোত্তর), মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড সিলেটের চেয়ারম্যান একেএম গোলাম কিবরিয়া তাপাদার এবং সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শহীদুল ইসলাম চৌধুরীকে নাট্যজন পদক প্রদান করা হয়।