একদিনের ব্যবধানেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের শেয়ারবাজার। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার দেশের উভয় বাজারে বেড়েছে মূল্য সূচক ও লেনদেন।
এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১০ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৯০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বুধবার এ সূচক ১৮ পয়েন্ট কমে ছিল। এর আগে টানা সাত কার্যদিবস সূচক বেড়েছিল। ওই সাত দিনে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ২৭৬ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৬২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। যা আগের দিনের তুলনায় ৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা বেশি। বাজারে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১১৮টির শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ১৫৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৩টির দাম।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জানুয়ারিতে বাজার একটানা ঊর্ধ্বমুখী ছিল। ওই সময় বাজার যেভাবে উঠছিল তা স্বাভাবিক ছিল না। যে কারণে টানা উত্থানের পর টানা দরপতন দেখা দেয়। তবে সাম্প্রতি বাজার যে আচরণ করছে তা স্বাভাবিক।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, বাজারে টানা উত্থান বা পতন কারই কাম্য নয়। জানুয়ারিতে বাজার একটানা বাড়ছিল।মূলত ওই টানা উত্থানের কারণেই টানা পতনও দেখা দেয়। তবে সম্প্রতি বাজার যে আচরণ করছে তা স্বাভাবিকই মনে হচ্ছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা য়ায়, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে মূল্য সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হলেও দ্রুতই নিম্নমুখী হয়ে পড়ে। এরপর কয়েক দফা সূচকের উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়।
এদিন টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বারাকা পাওয়ারের শেয়ার। প্রতিষ্ঠানটির ৬৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ৫৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৪৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আইডিএলসি।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ১৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৪৮৯ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে ৬৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৫৬টি ইস্যুর মধ্যে দাম বেড়েছে ১০০টির, কমেছে ১১৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টির।