কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় মা ও দুই মাস বয়সী শিশু সন্তানকে হত্যা মামলার মূল আসামি নজরুলসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পাকুন্দিয়ার আহুতিয়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মতিউর রহমানের নেতৃতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে ফেনীর দাগনভূঞায় এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, পাকুন্দয়া উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়নের নজরুল ইসলাম (২৫), তার বাবা সোহ্রাব উদ্দিন (৫০) ও মা মদিনা খাতুন (৪৫)।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা (এসআই) মতিউর রহমান।
পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৬ জানুয়ারি স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার পর থেকে রহিমা ও তার শিশু সন্তান আমিরুল ইসলাম রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। পরে গত ২১ জানুয়ারি উপজেলার মিরারটেক বিলভরা গুদি বিল থেকে রহিমা খাতুনের গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর ১০ দিন পর একই স্থান থেকে শিশু সন্তান আমিরুলেরও মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়নের পাবদা গ্রামের নজরুল ইসলামের সঙ্গে একই গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর মেয়ে রহিমা খাতুনের বিয়ে হয়। রহিমা খাতুন বুদ্ধি ও বাক-প্রতিবন্ধী ছিলেন। নহরুল ইসলাম অনৈতিক সম্পর্ক জড়িয়ে পড়লে রহিমা গর্ভবর্তী হয়ে পড়েন। সন্তান জন্ম নেয়ার দেড় মাস পর বাধ্য হয়ে রহিমাকে বিয়ে করেন নজরুল। আর বিয়ের কয়েকদিন পরই বেড়ানোর কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে শিশুসন্তানসহ তাকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় রহিমার বড় ভাই আবদুল আউয়াল বাদী হয়ে নজরুল ইসলাম (২৫), দেবর দ্বীন ইসলাম (১৮), শ্বশুর সোহ্রাব উদ্দিন (৫০) ও শাশুড়ি মদিনা খাতুনকে (৪৫) আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার অপর আসামি দ্বীন ইসলাম বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।