অভিনয় শিল্পী সংঘের নব-নির্বাচিত নেতারা শপথ গ্রহণ করলেন। শপথ অনুষ্ঠিত হয় বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ছ`টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালায়।
সংগঠনটির আহ্বায়ক প্রবীণ নাট্যজন মামুনুর রশীদ নির্বাচিত নেতাদের শপথ বাক্য পাঠ করান। এ সময় তারসঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার এস এম মহসীন এবং সুরুজ মিয়া।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে শপথ গ্রহণ করেছেন নব-নির্বাচিত প্রত্যেকেই। ছিলেন সভাপতি অভিনেতা শহিদুল আলম সাচ্চু এবং সেক্রেটারি অভিনেতা আহসান হাবিব নাসিম।
এছাড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান উপস্থিত থাকলেও আনিসুর রহমান মিলন পারিবারিক কারণে যুক্তরাষ্ট্রে থাকায় উপস্থিত ছিলেন না।
অন্যান্যদের শপথ গ্রহণ করেন- সহ-সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, জাহিদ হাসান শোভন ও তানভীন সুইটি, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে লুৎফর রহমান জর্জ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, অনুষ্ঠান সম্পাদক বন্যা মির্জা, আইন ও কল্যাণ সম্পাদক শামীমা ইসলাম তুষ্টি, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ওমর আয়াজ অনি।
এদিকে কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসেবে- আহসানুল হক মিনু, ইন্তেখাব দিনার, জাকিয়া বারী মম, নিকুল কুমার মণ্ডল, সেলিম মাহবুব যৌথভাবে সনি রহমান ও মুকুল সিরাজ জয়লাভ করেছেন। তারাও উপস্থিত ছিলেন।
পাশাপাশি অর্থ সম্পাদক পদে অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
সভাপতি শহিদুল আলম সাচ্চু বলেন, শিল্পীদের জন্যই এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। আগামীতে শিল্পীদের স্বার্থেই এটি ব্যবহৃত হবে।
নব-নির্বাচিত সভাপতি তার বক্তব্যকালে আগামী দু`বছরে শিল্পী সংঘের কার্যক্রম তিনটি স্তরে পরিকল্পনা করে পরিচালনার আশ্বাস দেন।
সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম বলেন, নির্বাচনে জয় লাভ করেছি ভোট যুদ্ধের মাধ্যমে নয়, উৎসবের আমেজে। যারা পরাজিত হয়েছেন তারাও শিল্পী। তাদের নিয়েও আমরা কাজ করতে চাই।
এছাড়া শপথ গ্রহণকারী নির্বাচিত প্রত্যেক শিল্পীই নাটকের উন্নয়নে, নিজেদের অধিকার রক্ষায় সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। শপথ গ্রহণ শেষে নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড অব বাংলাদেশ, ক্যামেরাম্যানদের সংগঠন ক্যামেরাম্যান অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ছাড়াও নাট্যসংঘ, প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা শিল্পী সংঘের নব-নির্বাচিত কমিটির নেতাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
উল্লেখ্য, নব-নির্বাচিত শিল্পী সংঘের এই কমিটির মেয়াদ আগামী দুই বছর। প্রথমবারের মতো শিল্পী সংঘের এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গেল ১০ ফেব্রুয়ারি।