তিন দিনেও শুরু হয়নি মাগুরার সীমাখালীতে চিত্রা নদীর উপর ভেঙে পড়া সেতুর অপসারণ ও অস্থায়ী সেতু নির্মাণের কাজ। স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মীদের তৈরি একটি বাঁশের সাকো দিয়ে সোমবার বিকাল থেকে নদী পারাপার হচ্ছেন জনসাধারণ।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকেও চলছে একটি বাঁশের সাকো তৈরির কাজ।
এদিকে তিন দিনেও সড়ক যোগাযোগ চালু করতে বিকল্প বেইলি ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু না করায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশালের থেকে যশোর, খুলনা, বেনাপোল, সাতক্ষীরায় যাতায়াতকারী যানবাহনগুলোকে বিকল্প হিসেবে অতিরিক্ত ৩৪ কিলোমিটার বেশি পথ ঘুরে ঝিনাইদহ দিয়ে যাতায়াত করছে। যে কারণে বেনাপোল দিয়ে ঢাকার সাথে পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে অতিরিক্ত সময় ও অর্থ ব্যয় হচ্ছে।
মাগুরা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নুর নবী তরফদার বলেন, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পর অস্থায়ী ভিত্তিতে বিকল্প সেতু নির্মাণ করে সড়ক যোগাযোগ চালু করা হবে। তবে আপাতত জনসাধারণের চলাচলের জন্য একটি বাঁশের সাকো তৈরি করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে মাগুরার শালিখা উপজেলার সীমাখালীতে চিত্রা নদীর উপর নির্মিত সেতুটি পাথরবোঝাই ১০ চাকার দুইটিসহ তিনটি ট্রাক নিয়ে ভেঙে পড়ে।