উত্তর কোরিয়া রোববার ফের একটি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী এ কথা জানিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার পর এই প্রথমবারের মত উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল।
দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে একটি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপান সাগর অভিমুখে পূর্ব দিকে প্রায় ৫শ’ কিলোমিটার পর্যন্ত ছুটে যায়।
পিয়ংইয়ং অতীতেও একাধিক পরমাণু ও ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার বারবার পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং আক্রমণাত্মক বক্তব্যে আঞ্চলিক উত্তেজনা অব্যাহত আছে।
এএফপি’র খবরে বলা হয়, কোরীয় উপদ্বীপের পশ্চিমাঞ্চল নর্থ পিয়ংগান প্রদেশের বাংহিয়ন বিমান ঘাঁটি থেকে রোববার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা চালানো হয়।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, উত্তর কোরিয়া থেকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ঘটনা শনাক্ত করা হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেন, উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অবহিত করা হয়েছে।
দ. কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উ, কোরিয়ার বারবার এ ধরণের উস্কানি কিম জং-উন সরকারের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নের অযোক্তিক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।
জাপানের চীফ কেবিনেট সেক্রেটারি ইয়োশিহিদে সুগা বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের জলসীমায় প্রবেশ করে নি। তিনি বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘটনায় উত্তর কোরিয়াকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হবে।
তবে উ. কোরিয়ার পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন মন্তব্য করা হয়নি।
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ কোরিয়া জাতীয় নিরাপত্তা বৈঠক ডেকেছে।
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পদক্ষেপকে ‘ক্ষমতার প্রদর্শন’ বলে বর্ণনা করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী।