যৌতুকের জন্য মারধরের অভিযোগে ক্রিকেটার আরাফাত সানির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় তাকে সাত দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ।
রোববার আরাফাত সানিকে সিএমএম আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্টু তদন্তের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহামম্মদপুর থানার এসআই মাসুদুর রহমান। কিছুক্ষণ পর এই শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
যৌতুকের জন্য মারধরের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর ক্রিকেটার আরাফাত সানির সঙ্গে ৫ লাখ এক টাকা দেনমোহরে নাসরিন সুলতানার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তারা দুজন ভাড়া বাসায় স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সংসার শুরু করেন। সংসার চলাকালীন ছয় মাস পর ক্রিকেটার আরাফাত সানি তার মায়ের পরামর্শে নাসরিনের কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের টাকার জন্য সানি তার স্ত্রীকে মারধর করেন এবং গালিগালাজ করে ভাড়া বাসায় ফেলে যান।
২০১৬ সালের ১২ জুন বাদী নাসরিন সুলতানা ভাড়া বাসাসহ যাবতীয় ভরণ-পোষণ না পেয়ে নিরুপায় হয়ে সংসার করতে স্বামী সানির সঙ্গে দেখা করেন। এসময় আরাফাত সানি যৌতুকের ২০ লাখ টাকা দাবি করে নাসরিনকে বলেন, যৌতুকের টাকা না দিলে আমার মা তোমার সঙ্গে সংসার করতে দেবেন না এবং এ নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোমার পরিণতি অনেক খারাপ হবে। কারণ তোমার কিছু অশ্লীল ছবি আমার মোবাইলে রয়েছে।
এরপর বাদীকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সানির মা তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেন এবং হুমকি দিয়ে বলেন, তোর সঙ্গে আমার ছেলে সংসার করবে না তাই সম্পর্ক ছিন্ন করার ব্যবস্থা কর। তখন বাদী তার বাসায় চলে যান।
এছাড়া বাসায় অবস্থানকালে আরাফাত সানি দুজনের কিছু আপত্তিকর ছবি ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে পাঠান। ছবি পাঠিয়ে আরাফাত সানি হুমকি দেন যে বেশি বাড়াবাড়ি করলে তার পরিণতি আরও খারাপ হবে। পরে ২৫ নভেম্বর আবার তার ম্যাসেঞ্জারে আপত্তিকর ছবি পাঠিয়ে হুমকি দেন আরাফাত সানি। এ ঘটনায় নাসরিন সুনতানা বাদী হয়ে গত ৫ জানুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে প্রথম মামলাটি করেন।