সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত মালির প্রেসিডেন্ট আমাদো তুমানি তুরে আনুষ্ঠানিক ভাবে পদত্যাগ করেছেন। পশ্চিম আফ্রিকার রাষ্ট্রটিতে চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে নেওয়া সমঝোতা উদ্যোগের অংশ হিসেবে তিনি পদত্যাগ করলেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।
দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে একদল বিদ্রোহী সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মালির প্রেসিডেন্টকে শাসনক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ করে। যদিও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও প্রতিবেশী দেশগুলো এই অভ্যুত্থানকে স্বীকৃতি দেয়নি।
মালির সঙ্কট নিরসনে নিয়োজিত আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারী ও প্রতিবেশী রাষ্ট্র বার্কিনো ফাসোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিব্রিল বাসোলে প্রেসিডেন্ট আমাদো তুমানি তুরের পদত্যাগের কথা নিশ্চিত করেছেন।
সমঝোতা চুক্তির শর্ত অনুযায়ী মালির অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে এখন পার্লামেন্টের স্পিকার দিনকুন্ডা ত্রাওরের শপথ নেওয়ার কথা।
দেশের উত্তরাঞ্চলে তুয়ারেগ বিচ্ছিন্নতাবাদী সমস্যার সম্মুখীন দেশটির একদল সেনা অফিসার গত ২২ মার্চ এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাজধানী বামাকোর নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে।
অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে পশ্চিম আফ্রিকার রাষ্ট্র সমূহের জোট ইকোয়াস জান্তা শাসিত মালির ওপর কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে। নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হয়ে অবশেষে ইকোয়াসের মধ্যস্থতায় একটি চুক্তির অধীনে ক্ষমতা ছাড়তে সম্মত হয় জান্তা সরকার।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী সামরিক জান্তা ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াবে। জান্তা পরবর্তী মালির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট হবেন পার্লামেন্টের স্পিকার দিনকুন্ডা ত্রাওরে। তিনি পরবর্তী ৪০ দিনের মধ্যে একটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজন করবেন। অভ্যুত্থানের নেতাদের কোন বিচারের সম্মুখীন না করে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হবে।