কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রথম ভোট গ্রহণ করা হবে আগামী ৫ জানুয়ারি।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
তফসিল অনুযায়ী মনোয়ন পত্র দাখিলের শেষ সময় ২ ডিসেম্বর। মনোনয়ন পত্র বাছাই হবে ৪ ও ৫ ডিসেম্বর এবং প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৪ ডিসেম্বর।
তফসিল ঘোষণার আগে সকালে দুই নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন সিইসি।
এ বছরের ৬ জুলাই প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে দেশের অষ্টম এ সিটি কর্পোরেশন গঠনের ঘোষণা দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। কিন্তু এ দিন গেজেট প্রকাশ না করে তা করা হয় ১০ জুলাই। এখন প্রজ্ঞাপন না গেজেট কোনটাকে গ্রহণ করে নির্বাচনের দিন ঠিক করা হবে তা নিয়ে বিপাকে পড়ে কমিশন।
প্রজ্ঞাপন প্রকাশের দিন ধরলে আইন অনুযায়ী ১ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা। অন্যদিকে ১০ জুলাই গেজেট প্রকাশের দিন থেকে এ কর্পোরেশনের বয়স ধরলে নির্বাচনের সময় সীমা দাঁড়ায় ৬ জানুয়ারি।
কমিশন সূত্র জানায়, আগের হিসেব অনুযায়ী ২১ নভেম্বর কুসিকের তফসিল ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু এ আইনি ঘাপলায় আগের করা খসড়া তফসিল বাতিল করে একদিন পর তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়। সে হিসেবে আগের হিসেবে ২৬ অথবা ২৭ ডিসেম্বরের নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ পরিবর্তনেরও সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে নির্বাচন ২ জানুয়ারিও হতে পারে।
এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে ওয়ার্ডভিত্তিক পুরুষ ও নারী ভোটার তালিকা তৈরি, রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ, ভোটকেন্দ্র নির্ধারণসহ সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
ইসি সূত্র জানায়, কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল বাতেনকে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব দিয়ে সোমবার বিকেলেই এ সংক্রান্ত চিঠি আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ২৭টি ওয়ার্ডে ৬৫টি ভোট কেন্দ্র নির্ধারণ, মেয়র, সাধারণ ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের জন্য পৃথক পৃথক ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। কুসিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগ্রহীরা মনোনয়নপত্র বিনামূল্যে সংগ্রহ করতে পারলেও ভোটার তালিকার সিডি ইসি নির্ধারিত পদ্ধতিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে কিনতে হবে।
এই নির্বাচনের সব কেন্দ্রে ইলেকট্রোনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন। কুসিকে ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড ৯টি। ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৬৯ হাজার ২৭৩জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮৩ হাজার ১৯৯ জন এবং নারী ভোটার ৮৬ হাজার ৭৪জন। এছাড়াও ভোটকেন্দ্র ৬৫টি এবং ভোটকক্ষ রয়েছে ৪২১টি।
এ নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় রিটার্নিং কর্মকর্তাকে সহায়তার জন্য ৯ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। । এমন প্রচারণা রোধ করতেই বিধিমালা সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি।’