রোহিঙ্গাদের ঠেঙ্গারচরে না পাঠানোর আহ্বান

রোহিঙ্গাদের ঠেঙ্গারচরে না পাঠানোর আহ্বান

বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের ঠেঙ্গারচর নামে একটি দ্বীপে পুনর্বাসনের যে পরিকল্পনা নিয়েছে তা অবিলম্বে বাতিল করার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। খবর বিবিসির।

নিউ ইয়র্ক থেকে বুধবার জারি করা এক বিবৃতিতে ওই দ্বীপটিকে অনুন্নত উপকূলীয় বন্যাপ্রবণ দ্বীপ হিসেবে উল্লেখ করে রোহিঙ্গাদের বিচ্ছিন্ন করে সেখানে না পাঠানোর আহ্বান জানানো হয়।

কক্সবাজার এলাকা থেকে ঠেঙ্গারচরে পাঠানো হলে তাদের চলাফেরার স্বাধীনতা, জীবিকা, খাবার এবং শিক্ষার সুযোগ সবকিছু থেকেই তারা বঞ্চিত হবে বলে আশঙ্কার কথা উঠে আসে বিবৃতিতে। এমনটা করা হলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।

বিবৃতিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্রাড অ্যাডামস বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সরকার হাস্যকরভাবে এমন একটি দ্বীপে রোহিঙ্গাদের উন্নত জীবনযাপন নিশ্চিত হবে বলে দাবি করছে যেখানে কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা নেই এবং জোয়ারের সময় এবং বর্ষাকালে তা তলিয়ে যায়।’

Rohingya
বিবৃতিতে সংস্থাটি বলছে, ১৯৯০ সাল থেকে মিয়ানমার থেকে আসা তিন লাখ থেকে ৫ লাখের মত মুসলিম রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে রয়েছে। এদের বেশিরভাগই অনিবন্ধিত।

মিয়ানমার সেনাদের নির্যাতন থেকে বাঁচার জন্য ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসের পর প্রায় ৬৯ হাজার রোহিঙ্গা নাগরিক রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনারা বিচার-বহির্ভূত হত্যা, যৌন নির্যাতন এবং গণহারে গ্রাম ধ্বংস করেছে।

তার মতে এই প্রস্তাবনা একইসঙ্গে নিষ্ঠুর এবং অকার্যকর এবং এটা ত্যাগ করতে হবে। এ মাসের শুরুতেই সরকার ঠেঙ্গারচরে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনার কথা পুনরায় তুলে ধরে।

বিবৃতিতে বলা হয়, জানুয়ারি মাসে মন্ত্রিসভায় একটি নির্দেশনা পাশ হয়। কিন্তু সকল রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেয়া হবে নাকি শুধু নতুন আসাদের সরিয়ে নেয়া হবে তা পরিষ্কার নয়।

সম্প্রতি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘রোহিঙ্গারা সাময়িকভাবে ঠেঙ্গারচরে পুনর্বাসিত হবেন। আমাদের প্রত্যাশা মিয়ানমার সরকার যত শিগগিরই সম্ভব তাদের ফিরিয়ে নেবে।’

আন্তর্জাতিক