মহাকাশে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম ক্ষুদ্রাকৃতির কৃত্রিম উপগ্রহ (ন্যানো স্যাটেলাইট)। আগামী মার্চ নাগাদ উপগ্রহটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত হবে। এরপর মে থেকে তা মহাকাশে ঘুরে বেড়াবে। ‘ব্র্যাক অন্বেষা’ নামে এই উপগ্রহটির ওজন প্রায় এক কেজি।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে এবং জাপানের কিউশু ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (কিউটেক) শিক্ষা ও প্রযুক্তি সহায়তায় এই উপগ্রহটি তৈরি করা হয়েছে। এটি দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতায় ১০ সেন্টিমিটার করে।
কিউটেকে গবেষণারত বাংলাদেশি তিন শিক্ষার্থীর (ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী) তৈরি এই উপগ্রহ মহাকাশে উৎক্ষেপণের জন্য জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির (জেএএক্সএ) কাছে বুধবার হস্তান্তর করা হয়েছে। স্যাটেলাইট প্রকল্পের উদ্যোক্তারা হলেন রায়হানা শামস ইসলাম অন্তরা, আবদুল্লা হিল কাফি ও মায়সূন ইবনে মনোয়ার।
এ উপলক্ষে জাপানে এক অনুষ্ঠানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ সাদ আন্দালিব কিউটেক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কৃত্রিম উপগ্রহটি গ্রহণ করেন। পরে তা জেএএক্সএর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কিউটেকের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ইউজি অই, ল্যাবরেটরি অব স্পেস ক্র্যাফট এনভায়রনমেন্ট ইন্টারঅ্যাকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পরিচালক মেংগু চো, জাপানে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর (রাজনৈতিক) জিয়াউল আবেদিন প্রমুখ।
স্যাটেলাইট প্রকল্পের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. খলিলুর রহমান।
তিনি জানান, ন্যানো স্যাটেলাইটটি পৃথিবী হতে ৪০০ কিলোমিটার ওপরে অবস্থান করবে এবং পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করে আসতে ৯০ মিনিট সময় নেবে। এটি বাংলাদেশের উপর দিয়ে দিনে চার থেকে ছয়বার উড়ে যাবে।