যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পক্ষে সাফাই গেয়ে দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে এটি পুনর্বহাল করতে আপিল আদালতের প্রতি আহবান জানিয়েছে।
সোমবার বিচার বিভাগের ১৫ পৃষ্ঠার এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাকে ‘প্রেসিডেন্টের কর্তৃত্বের বৈধ কর্মকান্ড’ ও একে মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা নয় বলে যুক্তি দেখানো হয়।
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে সাতটি মুসলিম প্রধান দেশের শরণার্থী ও পরিদর্শকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ সাময়িক নিষিদ্ধ করা হয়।
ভ্রমণ এ নিষেধাজ্ঞা অনুমোদন নাকি বাতিল করা হবে তা নিয়ে মঙ্গলবার ফের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার ওয়াশিংটন রাজ্যের এক ফেডারেল বিচারক ট্রাম্পের আদেশ সাময়িক স্থগিত করলে সান ফ্রান্সিস্কো ভিত্তিক নবম ইউএস সার্কিট আপিল আদালতে আপিল করা হয়।
ওয়াশিংটনের ফেডারেল বিচারক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাকে অসাংবিধানিক ও দেশের স্বার্থের জন্য হুমকি বলে যুক্ত দেখান। ফলে ইরাক, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেনের বৈধ ভিসাধারীরা ফের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি পান।
সোমবার সন্ধ্যায় বিচার বিভাগ এক প্রতিবেদনে জানায়, ওয়াশিংটন আদালত ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ কার্যকরের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে ভুল করেছে।
এতে আরো বলা হয়, ‘তবে কিছু বিষয়ে স্বস্তি ছাড় দেয়া যথাযথ হলেও দেশব্যাপী নির্বাহী আদেশের ওপর স্থগিতাদেশের ওপর সমর্থন প্রত্যাহার করা হচ্ছে।’
বিচার বিভাগ আরো জানায়, জাতীয় নিরাপত্তার ব্যাপারে সর্বোত্তম সিদ্ধান্ত নিতে পারেন প্রেসিডেন্ট। তাছাড়া মুসলমানদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেয়া হবে না বলে এ নির্বাহী আদেশকে দেখা হচ্ছে যা সঠিক নয়। এখানে সন্ত্রাসী ঝুঁকির কারণে কেবল সাতটি দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ধর্মের প্রতি যথাযথ সম্মান দেখিয়ে নিরপেক্ষভাবে নির্বাহী আদেশ দেন প্রেসিডেন্ট।