বাংলাদেশের বোলারদের অসহায়ত্বের দিনে শেষ দিকে জ্বলে উঠলেন শুভাশিস ও তাইজুল। এ দুই জনের বোলিং তোপে ২৮৭ রান তুলতে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ভারত `এ` দল।
আগের ২২৪ রানে ইনিংস ঘোষণা বাংলাদেশের জবাব দিতে নেমে প্রিয়াঙ কিরিত পানচাল আর অধিনায়ক অভিনব মুকুন্দ দারুণ সূচনা এনে দেন ভারতীয় ‘এ’ দলকে। যদিও তাদের এই ৪১ রানের জুটিতে আঘাত হানতে সক্ষম হন শুভাশিস রায়। ১৬ রান করে ইমরুল কায়েসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।
এরপর দিনের বাকি সময়টা অনায়াসেই পার করে দিলেন পানচাল আর শ্রেয়াস আইয়ার। এ দু’জন মিলে গড়েন ৫০ রানের জুটি। ৪০ রান করে দিন শেষে অপরাজিত রয়েছেন পানচাল। আর ২৯ রান করে অপরাজিত রয়েছেন শ্রেয়াশ আইয়ার।
দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের উপর চড়াও হয়ে দ্রুত সেঞ্চুরি তুলে নেন শ্রেয়াশ আইয়ার। ১০০ রান করে স্বেচ্ছায় সাজঘরে ফিরে যান এই তারকা। আইয়ারের পর সেঞ্চুরির দেখা পান পাচাল। তবে সেঞ্চুরির পর খুব বেশি সময় উইকেটে থাকেননি পাচাল। ১০৩ রান করে এ তারকাও স্বেচ্ছায় সাজঘরে ফেরেন।
এ দুই জনের বিদায়ের পর ভারত দলে জোড়া আঘাত হানেন শুভাশিষ। রিশাব পান্তকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত করেন তিনি। ১৯ রান করে শুভাশিষের বলে শফিউলকে ক্যাচ দেন পান্ত। ৫৮তম ওভারে এসে ইশান জাগিকে ব্যক্তিগত ২৩ রানে কট অ্যান্ড বোল্ড করেন শুভাশিষ।
ঠিক পরের ওভারে আঘাত হানেন তাইজুল। উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান ইশান কিশানকে ১১ রানে থামান তিনি। এরপর হার্ডিক পান্ডিয়াকে ৭ রানে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান বাঁহাতি এই স্পিনার।
এর আগে দুই ম্যাচ টেস্টের প্রথম দিন ভারতীয় বোলাদের সামনে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। তামিম ইকবাল আর ইমরুল কায়েস মিলে উপহার দিলেন মাত্র ১৭ রান। ১৩ রান করে আউট হন তামিম আর ইমরুল আউট হন ৪ রান করে। তৃতীয় উইকেটে মুমিনুল হক আউট হয়ে যান ৫ রান করে।
টপ অর্ডারে এই সেরা তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন সৌম্য সরকার। ৭৩ বলে ৫২ রান করেন তিনি। মাহমুদউল্লাহ করেন ২৩ রান। তবে সাব্বির রহমান আর মুশফিকুর রহীম মিলে ভালো রান যোগ করে দেন। এ দু’জন মিলে ৭১ রান যোগ করেন। ১০৬ বলে ৫৮ রান করেন মুশফিকুর রহীম।
৬৮ বলে ৩৩ রান করেন সাব্বির রহমান। লিটন দাস অপরাজিত থাকেন ৩৫ বলে ২৩ রান করেন। মেহেদী হাসান মিরাজ আউট হন শূন্য রানে। শেষ পর্যন্ত ৬৭ ওভার ব্যাট করে ২২৪ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ।