সিলেটের রাজনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ শেষবারের মতো বিনম্র শ্রদ্ধা আর চোখের জলে বিদায় জানালেন প্রিয় নেতা, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে।
মহান মুক্তিযদ্ধের এই বেসামরিক সাব সেক্টর কমান্ডারকে শ্রদ্ধা জানাতে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সকাল থেকেই নামে জনতার ঢল।
সোমবার বেলা ১১টায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মরদেহ ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে সিলেট পৌঁছায়। এসময় মরদেহের সঙ্গে ছিলেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ.স.ম ফিরোজ, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, সরকারদলীয় হুইপ সাহাবুদ্দিন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, অ্যাড. মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ, মুহিবুর রহমান মানিক, আবদুল মজিদ খান, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন ও সুরঞ্জিতপুত্র সৌমেন সেনগুপ্ত।
বেলা সোয়া ১১টা থেকে ১২টা ৫ মিনিট পর্যন্ত প্রায় এক ঘণ্টা সুরঞ্জিতের মরদেহ রাখা হয় সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে স্থাপিত অস্থায়ী মঞ্চে। মরদেহ সিলেটে নেয়ার পর তার দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা ও সাংসদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে শেষ বিদায় জানানোর জন্য সোমবার সকাল থেকেই শহীদ মিনারে যেতে শুরু করেন বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনতা। মানুষের ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত হন প্রয়াত সুরঞ্জিত।
ফুল দিয়ে প্রিয় নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ সিলেট জেলা ও মহানগর শাখা, ওয়ার্কার্স পার্টি, সাম্যবাদীদল, ন্যাপ, গণতন্ত্রী পার্টি, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ও মহানগর ইউনিট কমান্ড, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় গ্রেনেড হামলা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার, ডিআইজি সিলেট রেঞ্জ, বিএমএ সিলেট, সিলেট জেলা প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক কমিশন-বামাসাক, উদীচী সিলেট, বাংলাদেশ পয়েটস ক্লাব, জাতীয় শ্রমিক লীগসহ প্রায় তিন শতাধিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
শ্রদ্ধা নিবেদনে যাওয়া মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে বন্ধ করে দেয়া হয় জিন্দাবাজার থেকে চৌহাট্টামুখি সড়কে যানবাহন চলাচল। বাড়তি নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিল অতিরিক্ত পুলিশ।