টেকনাফের নাফনদীর বাংলাদেশ জলসীমায় মাছ ধরাকালীন সময়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী’র (বিজিপি) গুলিতে নুরুল আমিন (২৬) নামে বাংলাদেশি এক জেলে নিহত হয়েছেন।
সোমবার বেলা নয়টার দিকে টেকনাফ সদরের মৌলভীপাড়া সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নুরুল আমিন (২৬) টেকনাফ পৌরসভার চৌধূরীপাড়ার কবির আহমদের ছেলে।
পৌরসভার চৌধূরীপাড়া এলাকার কাউন্সিলর মৌলভী মুজিবুর রহমান জানান, নুরুল আমিন অন্য এক সহযোগী নিয়ে সোমবার সকালে নাফনদীতে মাছ শিকারে যায়। শুনেছি তারা বাংলাদেশি জলসীমায় মাছ ধরছিল। বেলা নয়টার দিকে হঠাৎ বিজিপি তাদের নৌকা লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নুরুল আমিন নৌকাতেই মারা যায়। পরে নৌকা নিয়ে তার সহযাত্রী তীরে ফিরে আসে। খবর পেয়ে স্বজনরা এসে নূরুল আমিনকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
টেকনাফ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদ তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেন।
তবে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল আবুজার আল জাহিদের মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
অপর একটি সূত্র জানায়, টেকনাফের হাসান আলী নামের জনৈক ব্যক্তি বিজিপির সোর্স হিসেবে কাজ করেন। নাফনদীর মাঝ সীমানায় মাছ ধরতে গেলে তাকে ভাগ দিয়ে খুশি করতে হয়। অন্যতায় বিজিপিকে দিয়ে অপহরণ কিংবা ধাওয়া করান। সোমবারের ঘটনাও তার মাধ্যমে হয়েছে বলে মনে করছে সূত্রটি।
কাউন্সিলর মুজিবও হাসপাতাল এলাকায় নুরুল আমিনের মরদেহ দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের হাসানের বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন।