ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার বিএনপির রাজনীতির মূলমন্ত্র উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হলেও তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। তারা অকারণে বিভিন্ন ইস্যু সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে।
জনগণের কথা ভুলে ক্ষমতায় যাওয়ার অভিলাষে বিএনপি এখন কেবল নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে। বিএনপিকে আমি বলবো, দয়া করে জনগণের ইস্যু নিয়ে কথা বলুন। জনগণের স্বার্থসংশ্লিষ্ট যেকোনো ইস্যু নিয়ে আপনারা কথা বললে আমরা তাকে স্বাগত জানাবো।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির ধারাবাহিক মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বিএনপির রাজনীতি এখন তাদের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কারণে-অকারণে বিএনপি নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে সরকার ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক মিথ্যাচার করছেন। ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের পুলিশ একাডেমি পরিদর্শন নিয়ে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রিজভী আহমেদের গতকালের সংবাদ সম্মেলন ছিল ধারাবাহিক মিথ্যাচারেরই অংশ। ইতোপূর্বে ভারতের অনেক রাষ্ট্রদূত পুলিশ একাডেমি পরিদর্শন করেছিলেন।
হাসান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশের রাষ্ট্রদূতসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা পুলিশ একাডেমি পরিদর্শন করেছেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত দেশের ৬৪টি জেলা ভ্রমণ করেছেন। তখন বিএনপি কিছু বলেনি। প্রকৃতপক্ষে অন্য কোনো ইস্যু না পেয়ে বিএনপি এখন এটিকে ইস্যু বানাতে চাইছে।
বিএনপির রাজনীতিই হলো ভারত-বিরোধিতা করা। বিএনপি নেত্রী ভারতীয় শাড়ি পরেন, ভারত থেকে আসা গরুর মাংস খান আবার মুখে ভারতের বিরোধিতা করেন। রিজভী আহমেদও তার ব্যতিক্রম নন। বর্তমান সরকার ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কই খালেদা জিয়া ও তার দলের নেতাদের গাত্রদাহের কারণ- বক্তব্যে যোগ করেন হাছান মাহমুদ।
সিরাজগঞ্জে সাংবাদিক নিহতের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, যে বা যারা এ ঘটনার জন্য দায়ী তাদের ছাড় দেয়া হবে না। দলে অনুপ্রবেশকারীরা এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, দল ক্ষমতায় থাকায় দলে এখন অনুপ্রবেশকারীদের প্রবেশ ঘটছে। এদের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, এম এ করিম, অরুণ সরকার রানা, জিন্নাত আলী খান জিন্নাহ, নওশের আলী প্রমুখ।