সাত মুসলিম প্রধান দেশের বাসিন্দা ও পর্যটকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা জারির প্রতিবাদ জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। দেশটির অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই সাত দেশের শত শত শিক্ষার্থী ও শিক্ষক বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একাডেমিক কাজের সমন্বয় করতেন। ট্রাম্পের ওই নিষেধাজ্ঞার ফলে এই কাজে বিঘ্ন ঘটছে। এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দেখা দিয়েছে ভীতি ও বিভ্রান্তি।
এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ৭ হাজারেরও বেশি শিক্ষাবিদ ও ৩৭ নোবেল বিজয়ী। অভিবাসন বন্ধে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে একটি পিটিশনেও স্বাক্ষর করেছেন তারা।
নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ইয়ান জ্যাকবস বলেছেন, বিশ্বে বিশ্ববিদ্যালয়টির অন্যতম নেটওয়ার্ক আছে। ইরানের ৫১টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতামূলক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ও যৌথভাবে ১৭৫টি প্রকাশনা বের হয়। গত বছর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইরানের শিক্ষার্থী ছিল ১৭১ জন।
তিনি বলেন, আমাদের উচ্চতর ডিগ্রি গবেষণা ছাত্রদের মধ্যে ২২১ জন রয়েছে; যারা ক্ষতিগ্রস্ত ওই সাত দেশের নাগরিক। গত বছর এদের মধ্যে অন্তত ১৬ জন কনফারেন্সে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে গেছে।
প্রফেসর ইয়ান জ্যাকবস বলেন, পর্যাপ্ত সতর্কতা ছাড়াই ট্রাম্প ওই ঘোষণা দেয়ায় সাত দেশের শিক্ষাবিদ ও শিক্ষার্থী; যারা মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা ও গবেষণা করছেন এবং অস্ট্রেলিয়া সফরে এসেছেন তারা যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যেতে পারবেন না।
নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্ট্রেলিয়া প্রধান বেলিন্ডা রোবিনসন বলেন, অস্ট্রেলীয় এবং মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমন্বয় এবং বিনিময়ের দীর্ঘ ইতিহাস ছিল। কিন্তু ট্রাম্পের আদেশের ফলে সমন্বয়কৃত গবেষণা ও সম্মেলনে অংশগ্রহণ, ডক্টরেট ডিগ্রির গবেষণা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান।