২০১৭ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সাধারণ বোর্ডে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, সহজ বাংলা প্রথম পত্র এবং বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংষ্কৃতি, মাদ্রাসা বোর্ডে কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ বিষয়ের পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে শুরু হলো চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।
এ বছরের পরীক্ষায় বসছে ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৩ জন শিক্ষার্থী; যা গত বছরের তুলনায় এক লাখ ৩৫ হাজার ৯০ জন বেশি।
২৮ হাজার ৩৪৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ৩ হাজার ২৩৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষা আয়োজন করা হয়েছে। বিদেশে কেন্দ্র রয়েছে আটটি, যেখানে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৪৪৬ জন।
অন্যান্য বছরের মতো এবারও সকালের পরীক্ষা ১০টা থেকে ১টা এবং বিকেলের পরীক্ষা ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত নেয়া হবে। ৬০ দিনের মধ্যে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এবার ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে ৪ মার্চ। শেষ হবে ১১ মার্চ।
এসএসসিতে মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ২৫ হাজার ৯০০ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ২ হাজার ২৯৯ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা সাত লাখ ২৩ হাজার ৬০১ জন।
মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী দুই লাখ ৫৬ হাজার ৫০১ জন এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে (ভোকেশনাল) এক লাখ চার হাজার ২১২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।
এ বছর হতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা নামে দুটি নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসি জনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী শ্রুতি লেখক সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে পরীক্ষা শুরুর পর ধানমন্ডি গভর্নমেন্ট বয়েজ ল্যাবরেটরি স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেন, চিরকাল প্রশ্ন ফাঁস হয়ে আসছিল। আমরা তা বন্ধ করেছি। আপনারা আমাদের সহযোগিতা করেন। আমরা উন্নত শিক্ষায় ছেলেমেদের শিক্ষিত করতে চাই।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় আমরা নতুন নতুন পরিবর্তনে আনছি। এতে আপনারা হতাশ হবেন না। ভুলের মধ্যেই আমাদের শিখতে হবে।
অভিভাবকদের বিভিন্ন অভিযোগও শোনেন মন্ত্রী। জবাবে বলেন, আমরা যে শিক্ষায় বড় হয়েছি, তা এখন অকার্যকর। তাই নতুন শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে শুধু শিক্ষার্থীরা নয়, আমাদেরও অভিজ্ঞতা হচ্ছে। পরে মন্ত্রী পরীক্ষা কেন্দ্রর বিভিন্ন হলগুলো ঘুরে দেখেন।
এ সময় শিক্ষাসচিব, ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কমকতাসহ অনেকে উপস্থিতছিলেন।