ইলেক্ট্রনিকস দ্রব্য আমদানি ও উৎপাদনে শুল্ক পার্থক্য ২০ শতাংশ করার দাবি

ইলেক্ট্রনিকস দ্রব্য আমদানি ও উৎপাদনে শুল্ক পার্থক্য ২০ শতাংশ করার দাবি

অযৌক্তিক রেগুলেটরি ডিউটি ও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করে আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ে শুল্ক পার্থক্য ২০ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইলেক্ট্রনিকস মার্চেন্ডস অ্যাসোসিয়েশন।

রোববার দুপুর ১২টায় রাজধানীর হোটেল রূপসী বাংলায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইলেক্ট্রনিকস মার্চেন্ডস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আমীর হোসেন খান।

তিনি জানান, রেফ্রিজারেটর ‌আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ে অধিক শুল্ক পার্থক্যের কারণে ওয়ালটন কোম্পানি বিশেষভাবে লাভবান হচ্ছে। কিন্তু ভোক্তা বা সরকার এর কোনো সুবিধাই পাচ্ছে না।

আমদানিকৃত রেফ্রিজারেটরের সঙ্গে দেশে তৈরি রেফ্রিজারেটরের চূড়ান্ত শুল্ক পার্থক্য ১২২ শতাংশ। কিন্তু প্রকৃত টাকার হিসাবে তা আরও অনেক বেশি। কারণ আমদানিকৃত রেফ্রিজারেটরের ক্রয় মূল্যের ওপর শুল্ক না দিয়ে দিতে হচ্ছে লিটারপ্রতি ১ মার্কিন ডলারের ওপর। যা প্রকৃত আমদানি মূল্যের চেয়ে বেশি।

আমীর হোসেন বলেন, যে পদ্ধতিতে রিফ্রিজারেটরের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে তা একদিকে যেমন আইনসম্মত নয়, অপরদিকে একটি পণ্যের প্রকৃত গুণাগুণ বিচার বিশ্লেষণ করে ‍বিজ্ঞানভিত্তিক যৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রেও ব্যর্থতা দেখিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

তিনি বলেন, ‘আমরা শুল্ক বিরোধী নয়, তবে দেশীয় শিল্পের সঙ্গে আমদানিকৃত পণ্যের সামঞ্জস্যপূর্ণ যৌক্তিক সুষম ন্যায়ভিত্তিক ব্যবসায়ী প্রতিযোগিতা চাই। যা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’

নতুন বাজেটে আমদানি ও উৎপাদন ক্ষেত্রে শুল্ক বৈষম্য কমিয়ে আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সানাউল্লাহ শহীদ, উপাদেষ্টা টি বিশ্বাসসহ অন্য সদস্যরা।

অর্থ বাণিজ্য