সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় সংবলিত ৮ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে ৯ হাজার ১৯২ কোটি টাকা সরকারি তহবিলের অর্থায়নে, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ৮৭৩ কোটি টাকা, বাকি ২ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা ব্যয় হবে প্রকল্প সাহায্য থেকে।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় একনেক সদস্যবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং সচিববৃন্দ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব উপস্থিত ছিলেন ।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান।
তিনি জানান, সভায় লোকাল গর্ভনেন্স সাপোর্ট প্রজেক্ট অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা। এরমধ্যে দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক দিবে ৩ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা। বাকি টাকা ব্যয় হবে জিওবি থেকে। স্থানীয় সরকার বিভাগ এটি বাস্তবায়ন করবে।
অন্যদিকে জলবায়ু সহনশীল গ্রামীন অবকাঠামো তৈরিতে অনুদান দিচ্ছে ডেনিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (ডানিডা)। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৪১৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩১৫ কোটি ৬৩ লাখ এবং ডানিডার অনুদান থেকে ১০২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ শেষ করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)।
সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) একজন বিদেশি পরামর্শকের জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি টাকা। এছাড়া দেশীয় পরামর্শকের জন্য ধরা হয়েছে ৫৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
তবে, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় পরামর্শক খাতের যৌক্তিকতা সম্পর্কে জানতে চেয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। পাশাপাশি ব্লক গ্রান্ট খাতে সংস্থান করা সরকারি তহবিলের অর্থের অংশ বাদ দেয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রকল্প এলাকার স্থান সংকুলানের জন্য এলজিইডির অফিস সম্প্রসারণের যৌক্তিকতা ও বিভাজনের বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়েছে।
সভায় চট্টগ্রামে নতুন দু’টি আবাসন প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যৌথভাবে এ উদ্যোগ নিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। একটি বায়েজিদ বোস্তামি থানার আরেফিন নগর এলাকায়, অন্যটি হাটহাজারিতে। এতে ব্যয় হবে ২৮৩২ কোটি টাকা। এর মাধ্যমে ২৮২৫টি আবাসিক প্লট তৈরি করা হবে। যেখানে ১১০টি বাণিজ্যিক প্লটও থাকবে।
সভায় অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্পের মধ্যে খুলনা বিভাগ অবকাঠামো প্রকল্প ( ব্যয় ২ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা), মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলোজি, মিরপুর সেনানিবাস উন্নয়ন প্রকল্প (ব্যয় ধরা হয়েছে ৪২১ কোটি টাকা), নাটোর রোড (রুয়েট) হতে রাজশাহী বাইপাস সংযোগ সড়ক (ব্যয় হবে ১২৯ কোটি টাকা), বরিশাল ও সিলেট আর্মস পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও রেঞ্জ রিজার্ভ পুলিশ লাইন (ব্যয় ২৩১ কোটি টাকা) এবং পটুয়াখালী পায়রা ২৩০ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ (ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩৬ কোটি টাকা)।