ই-ফাইলিং চালু হচ্ছে কারা অধিদফতরে

ই-ফাইলিং চালু হচ্ছে কারা অধিদফতরে

ডিজিটালাইজেশনের ছোঁয়া লাগছে কারা অধিদফতরে। চালু হচ্ছে ই-ফাইলিং। ফলে শিগগিরই বন্ধ হচ্ছে প্রচলিত কাগজের ফাইল চালাচালি। অদূর ভবিষ্যতে দেশের সব কারাগার ই-ফাইলিংয়ের আওতায় আনার চিন্তাভাবনাও রয়েছে সরকারের।  সংশিষ্টরা বলছেন- এতে করে সময় কম লাগবে ও কাজে গতিশীলতা আসবে।

কারা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এ টু ওয়াই প্রকল্পে ইতোমধ্যেই কারা অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ই-ফাইলিং পদ্ধতিতে ফাইল সংরক্ষণসহ সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে প্রশিক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষ হলে আপাতত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সঙ্গে ই-ফাইলিং পদ্ধতিতে কাজ শুরু করবে কারা অধিদফতর। পরবর্তীতে দেশের সব কারাগারে ডিজিটালাইজড ই-ফাইলিং শুরু হবে।

অধিদফতরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মো. আবদুল্লাহ আল মামুন জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এ টু ওয়াই প্রকল্পের আওতায় গত ডিসেম্বর মাসে কারা অধিদফতরের দুজন কর্মকর্তা ই-ফাইলিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তারাই এখন কারা অধিদফতরে ই-ফাইলিং কীভাবে কার্যকরভাবে চালু করা যায় তা পরীক্ষামূলকভাবে যাচাই-বাছাই করছেন। এ পদ্ধতিতে কাজে সুফলও পাওয়া যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

জানা গেছে- বর্তমানে কারা অধিদফতরের সদর দফতরে প্রথম শ্রেণির পাঁচজন (নিয়মিত), চারজন  (প্রেষণে) ও  চারজন দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তাসহ মোট ১৩ জন কর্মকর্তা রয়েছেন। এ ১৩ কর্মকর্তা ছাড়া আরও ১৫ জন অফিস স্টাফকে ই-ফাইলিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।

ই-ফাইলিং চালুর সুবিধা সম্পর্কে জানতে চাইলে আবদুল্লাহ আল মামুন তার সামনে স্তুপকৃত কাগজের ফাইল দেখিয়ে বলেন, ‘ই-ফাইলিং চালু হলে কাগজপত্র নিয়ে দৌড়-ঝাপ করতে হবে না। কম্পিউটারে ক্লিক করে মুহূর্তেই যে কোনো বিষয়ে তাৎক্ষণিক মতামত ও  সিদ্ধান্ত প্রদান করা যাবে। এতে সময় কম লাগবে ও কাজে গতিশীলতা আসবে। অদূর ভবিষ্যতে দেশের সব কারাগার ই-ফাইলিংয়ের আওতায় আনার চিন্তাভাবনা রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ