বেতন, ভাতাসহ যাবতীয় সুবিধাদির শতভাগ সরকারি কোষাগার থেকে প্রদানসহ তিন দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব সমিতির (বাপসা) সদস্যরা।
পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী সোমবার সকাল থেকে তারা শহীদ মিনারে সামনে দ্বিতীয় দিনের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে, চলবে দুপুর ৩ টা পর্যন্ত।
সরকারি কোষাগার থেকে বেতন পরিশোধসহ সংগঠনটির অন্যান্য দাবি হচ্ছে, ইউনিয়ন পরিষদ সচিবদের পদবী পরিবর্তন পূর্বক (মূখ্য কর্মকর্তা) ১০ম গ্রেড স্কেলে কর্মকর্তার মর্যাদা এবং আর্থিক নিরাপত্তার লক্ষ্যে পেনশন সুবিধা প্রদান।
অবস্থান কর্মসূচিতে সংগঠনের সদস্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি শেখ হাবিবুর রহমান, মহাসচিব মাসুদ পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মোমেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহবুবুল আলম মোল্লা, নজরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল-আমিনসহ বিভিন্ন জেলার নেতারা।
এ সময় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, যদি পরবর্তী কর্মসূচির আগে আমাদের দাবি মেনে না নেয়া হয় তবে দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদ অচল করে দেয়া হবে।
অবস্থান কর্মসূচীতে অন্যান্য বক্তারা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মচারীদের শতভাগ বেতন-ভাতাদি কেন্দ্রীয় অথবা রাজ্য সরকার প্রদান করলেও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম বাংলাদেশে।
তারা বলেন, আমাদের দেশে সচিবদের বেতনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ৭৫ ভাগ সরকার ও ২৫ ভাগ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান থেকে প্রদান করা হয়। সরকারি অংশের ৭৫ ভাগ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ৩ মাস পরপর প্রদান করা হয়। তবে স্থানীয় সরকারের (ইউপি) ২৫ ভাগ অর্থ নিজস্ব আয় না থাকায় সচিবরা সময় মতো পান না।
দেশের অধিকাংশ জেলার সচিবগণ ইউপি অংশের ২৫ ভাগ অর্থ ৬ মাস থেকে ১ বছর পরপর পেলেও পার্বত্য তিন জেলার সচিবরা আদৌ পান না। অথচ ভারতের সর্বনিম্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মচারীদের শতভাগ বেতন-ভাতাসহ সকল সুবিধাদি কেন্দ্রীয় সরকার নিশ্চিত করে থাকে।