কিডনি বিক্রিতে প্রলুব্ধ করার অভিযোগে চীনে ৫ জন আটক

কিডনি বিক্রিতে প্রলুব্ধ করার অভিযোগে চীনে ৫ জন আটক

গত বছরের এপ্রিলে নতুন মডেলের আইপ্যাড কিনতে নিজের কিডনি বেচে দিয়েছিলো চীনের এক তরুন। ওই তরুনকে কিডনি বেচতে প্রলুব্ধ করার অভিযোগে চীনের পুলিশ অবশেষে গ্রেফতার করে ৫ জনকে। গতকাল চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্য সিনহুয়া এই গ্রেফতারের কথা প্রকাশ করে। সংবাদমাধ্যমটি জানায় লেটেস্ট মডেলের আইফোন ও আইপ্যাডের লোভেই অবৈধ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ব্যবসায়ীদের ফাঁদে পা দেয় ১৭ বছর বয়সের ওই তরুন। অনলাইন চ্যাটের মাধ্যমে ওই তরুনকে ফাঁদে আটকায়
অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ব্যবসায়ীরা।

চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় হুনান প্রদেশ থেকে অভিযুক্ত পাঁচ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানায় সিনহুয়া।

তরুনের কিডনি সরিয়ে নেওয়া হয় ২০১১’র এপ্রিল মাসে। ১৭ বছর বয়সী তরুন ওয়াং কিডনির বিনিময়ে পায় মাত্র ৩ হাজার ডলার। অথচ কিডনি প্রতিস্থাপনের সঙ্গে জড়িত গ্রুপটি প্রায় ৩৫ হাজার ডলার হাতিযে নেয় বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।

তবে কিডনি বেচে আইপ্যাড কিনতে সমর্থ হলেও মায়ের চোখ এড়াতে পারেনি ওই তরুন। পুত্রের হাতে দামি মোবাইল দেখে টাকার উৎস সম্বন্ধে জেরা শুরু করেন তিনি। অবশেষে চাপের মুখে কিডনি বেচার কথা স্বীকার করে সে।

জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে শারীরিক ক্ষতি এবং অবৈধ অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ব্যবসার অভিযোগ আনা হয়েছে।

চীনে অ্যাপলের আইফোন ও আইপ্যাড খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু উচ্চ মূল্যের কারণে এর দাম চীনের অনেক লোকেরই নাগালের বাইরে। পাশাপাশি দেশটিতে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ  প্রতিস্থাপনে ইচ্ছুক দাতার সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।

সরকারি হিসেবে অনুযায়ী চীনে বছরে ১৫ লাখ লোকের কিডনি প্রতিস্থাপন প্রয়োজন হয় অথচ এর বিপরীতে  আগ্রহী দাতা পাওয়া যায় মাত্র ১০ হাজার।

সাধারণত মৃত্যুদণ্ডের স্বীকার হওয়া বন্দিরা চীনের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের অন্যতম উৎস। তবে সমালোচনার মুখে চীনে এখন এ রাস্তাও বন্ধ।

আন্তর্জাতিক