গেল বৃহস্পতিবার তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির হরতাল চলাকালে দুই সাংবাদিকের ওপর পুলিশের নির্মম নির্যাতনের প্রতিবাদে মুখে কালো কাপড় বেঁধে সড়কে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাংবাদিকরা।
শনিবার বেলা ১১টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে মৌন সমাবেশ ও মানববন্ধন করে প্রতিবাদ জানান সাংবাদিকরা।
এতে উপস্থিত ছিলেন- বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, ডিআরইউয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট শাহেদ চৌধুরী, এটিএন নিউজের সিইও মুন্নি সাহাসহ ৫ শতাধিক সাংবাদিক।
ওই ঘটনা প্রসঙ্গে শুক্রবার মৌলভীবাজারে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সাংবাদিক নির্যাতন পুলিশে করে না। মাঝে মধ্যে পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি লেগে যায়। বৃহস্পতিবারও তাই হয়েছে।
২০ মিনিটের কর্মসূচিতে সাংবাদিকরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে সারিবদ্ধভাবে প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে এর প্রতিবাদ জানান।
প্রতিবাদে দাঁড়ানো সাংবাদিকদের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল- কলম আর ক্যামেরা মাথা নত করে না, কলমের স্বাধীনতা চাই, সাংবাদিকের উপর হামলার বিচার চাই, হোক প্রতিবাদ, মানবিক পুলিশ চাই, মুক্ত সংবাদ ও সাংবাদিকতা চাই ও মৌনতাই হোক প্রতিবাদ ইত্যাদি স্লোগান।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবিতে তেল-গ্যাস ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির হরতালে দুইজনকে আটক করে পুলিশ।
তাদের ছবি তুলতে গেলে বেসরকারি টেলিভিশন এটিএন নিউজের ক্যামেরা পারসন আবদুল আলিমকে ফেলে বেধড়ক পেটান কয়েকজন পুলিশ সদস্য। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে রিপোর্টার কাজী ইশান বিন দিদারও হামলার শিকার হন।
এই ঘটনায় সাংবাদিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে শাহবাগ থানায় অবস্থান নেন। আহত দুই সাংবাদিককে নেয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
পরে সাংবাদিক মারধরের ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন ও এএসআই এরশাদকে সাসপেন্ড করে রমনা বিভাগ পুলিশ।
রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার জাগোনিউজকে জানান, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রমনা বিভাগের এডিসি এডমিন নাবিদ কামাল শৈবাল, এডিসি রমনা আজিমুল হক ও এসি রমনা ইহসানুল হক। দুই কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।