নেত্রকোনায় আজ বৃহস্পতিবার থেকে তিন দিনব্যাপী ইজতেমা শুরু হচ্ছে। জেলা শহরের রাজুর বাজারস্থ মার্কাস মসজিদের উদ্যোগে এই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ইতোমধ্যে ইজতেমা অনুষ্ঠনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ইজতেমার মাঠে আসতে শুরু করেছেন। ইজতেমায় দেশের বাইরে থেকেও মুসল্লিরা এসে যোগ দিচ্ছেন।
এদিকে ইজতেমাকে ঘিরে জেলা সদরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে বেশ ক’দিন ধরেই আনন্দ উৎসাহ দেখা গেছে। ইজতেমাকে সফল করার লক্ষে বিভিন্ন স্কুল কলেজ মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকসহ তাবলীগ জামায়াতের অনুসারীরা স্বেচ্ছা সেবকের কাজ করেছেন। ইজতেমা মাঠে খোলা হয়েছে চিকিৎসা ও অনুসন্ধান কেন্দ্র।
ইজতেমার তদারককারী মো. আবদুস সাত্তার মাস্টার জাগো নিউজকে জানান, আজ ২৬ তারিখ থেকে তিন দিনব্যাপী ইজতেমা শুরু হচ্ছে। বিদেশি মেহমানের জন্য টিন সেডের ঘর নিমার্ণ করা হয়েছে। ইজতেমাকে ঘিরে মাঠের চার দিকে চারটি গভীর নলকূপ দিয়ে মুসল্লীদের অজু ও গোসলের পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
খাবারের জন্য ট্যাঙ্কির মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
এদিকে ইজতেমাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু অস্থায়ী দোকানও চালু করা হয়েছে। পাওয়া যাচ্ছে সকল প্রকার শীত বস্ত্রসহ বিভিন্ন প্রকারের খাবার।
ইজেতেমা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, আজ ফজরের নামাজের পর থেকে হেদায়েতি বয়ান শুরু হয়েছে। এবারে নেত্রকোনা ইজতেমায় লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লির সমাগম হবে।
ইজতেমা মাঠে দায়ীত্ব পালনরত এপিবিএনের এএসপি মো. আনসিুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, ইতোমধ্যে ইজতেমাস্থলে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এছাড়াও চারটি ওয়াচ টাওয়ার থেকে পুরো এলাকা পুলিশের কঠোর নজরদারিতে রাখা হবে।
মুসল্লিরা যাতে নির্বিঘ্নে ইজতেমাস্থলে আসতে পারে এবং ইবাদত বন্দেগীতে মশগুল থাকতে পারে তার জন্য প্রায় ৬ শতাধিক পুলিশ, আমর্ড পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন রয়েছে। এছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।
জেলা প্রশাসক ড. মো. মুশফিকুর রহমান জানান, প্রশাসন থেকে ইজতেমা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করার জন্য মাঠে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে সহকারি কমিশনারদের নিয়ে টিম কাজ করছে। নেত্রকোনার এই ইজতেমা সফল করার জন্য তিনি সকলের সহযোগিতাও কামনা করেছেন।