সুন্দরবন রক্ষার হরতাল ফেসবুকেও

সুন্দরবন রক্ষার হরতাল ফেসবুকেও

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল ও সুন্দরবন রক্ষার দাবিতে হরতাল চলছে ভোর থেকে। চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত। তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ডাকা এ হরতালে সাড়া মিলেছে ফেসবুকেও। ফেসবুক ব্যবহাকারীদের অনেকেই হরতালে নৈতিক সমর্থন জানিয়ে নানান স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।

গত রাত থেকেই ফেসবুকের দেয়াল সুন্দরবন রক্ষার দাবিতে নানা পোস্টে ভরে ওঠে। বুধবার সকালে হরতালের হালচাল নিয়ে অনেকেই লিখতে থাকেন। অনেকেই তাদের প্রোফাইল ছবিও পরিবর্তন করে সুন্দরবন সংশ্লিষ্ট ছবি সংযুক্ত করেছেন।

শুধু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বই নয়, সাংবাদিক, সমাজকর্মী, উন্নয়নকর্মী, পরিবেশবাদীসহ অরাজনৈতিক ব্যক্তিরাও হরতালের সমর্থন জানিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন ফেসবুকে। অনেকে আবার অন্যের দেয়া পোস্টে এসে সম্মতি জানিয়ে জোরালো মন্তব্যও করছেন।

একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সাংবাদিকতা করেন আরাফাত সিদ্দিক। গত মঙ্গলবার রাতে এই সাংবাদিক তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বুধবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত ফেসবুকে কোনো প্রকার স্ট্যাটাস দেয়া থেকে বিরত থাকব।’

গোলাম মোস্তফা নামের একজন লিখেছেন, ‘হরতালে আমি আছি শাহবাগে, আপনি আছেন তো?’

রাজশাহীর মুরাদ মোর্শেদ তার পোস্টে লিখেছেন, ‘রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবিতে ঢাকায় হরতাল। হরতালের সমর্থনে রাজশাহীতে আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করব।’

আব্দুল্লাহ মাহফুজ অভি নামে একজন তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ভোরে যে সূর্য উঠতে যাচ্ছে তা বিশ্ব ইতিহাসে নাম লেখাবে। বনভূমি রক্ষায় ইতহাসের প্রথম হরতাল পালিত হতে যাচ্ছে।’

গাজীপুরের ব্যাংক কর্মকর্তা শামীম লিখেছেন, ‘হরতালে পিকেটিং করতে মন চাইছে। কিন্তু চাকরিজীবী বলে কথা।’

এ রকম হাজারো ফেসবুক ব্যবহারকারী হরতালের সমর্থন জানিয়ে তাদের লেখনির মাধ্যমে ঝড় তুলেছেন।

বুধবার তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এক বিবৃতিতে এ হরতাল ও বিক্ষোভের ঘোষণা দেন।

বিবৃতিতে আনু মুহাম্মদ বলেন, রামপাল কয়লা প্রকল্প বাতিলসহ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সমস্যা সমাধানের জন্য ৭ দফা বাস্তবায়নে লংমার্চ, প্রতিবাদ-বিক্ষোভ, মহাসমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করলেও সরকার সুন্দরবনের জন্য ক্ষতিকর নানা তৎপরতা চালাচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে হরতাল পালনের কর্মসূচি দিয়েছি।

বিবৃতিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবারের হরতাল ক্ষমতার সংকীর্ণ সংঘাতে সম্পদ ধ্বংসের নয় বরং সম্পদ রক্ষা-সম্পদ সৃষ্টি ও বাংলাদেশ রক্ষার। এ হরতাল জ্বালাও-পোড়াও নয়, মানুষের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণের।

বাংলাদেশ